জুয়েল আহমদ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের সি/এ মার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার কামাল কমিউনিটি সেন্টারের মার্কেটে তালাবদ্ধ স্টুডিও দোকানের ভেতরে নিখোঁজের ৪ দিন পর স্টুডিও মালিক ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকারের(২৩) গলা কাটা লাশ বৃহস্পতিবার রাট ৮টায় উদ্ধার করেছে সিআইডি। এর আগে ওই দোকান ঘরে দূবৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন এমন সন্ধেহে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ দোকান ঘরটি ঘিরে রাখে।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে তালাবদ্ধ স্টুডিও এর বাহিরে শতশত উৎসুখ জনতার ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। দোকান ঘরের ভেতর থেকে লাশের বিদকুট গন্ধ বেরিয়ে আসে এরপরও ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় শতশত নারী পুরুষদের উপচেপরা ভীর দেখা গেলেও নিহত আনন্দ সরকারের মা জ্যোছনা রানী সরকারের বুকফাটা করুন আহাজারীতে সেখানে হ্নদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।
এমন রহস্যময় ঘটনায় বিষ্মিত হয়েছেন এলাবাসী। টগবগে ওই যুবক এলাকার সকলেরই ¯েœহাসপদ আনন্দ সরকারের নির্মম ঘটনায় অনেকেই দুকরে দুকরে কাদঁতে দেখা গেছে। আনন্দ সরকার স্টুডিওর চাকুরি ছেড়ে নিজ নামে আনন্দ স্টুডিও দোকান খুলে অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরেছিলেন।
দোকানের জন্য একটি ফটোকপি মেশিন ক্রয় করতে আনন্দ সরকার সোমবার(২ ডিসেম্বর)এনজিও সংস্থা আশা থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋৃন উত্তোলন করেছিলেন। আর সেদিন রাত ৮টায় মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয় আনন্দ সরকারের।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টুডিওটি বাহির থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেকেই ভাবছিলেন আনন্দ সরকার হয়তোবা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য চলে গেছেন।
এদিকে এনজিও থেকে ঋৃনের টাকা উত্তোলনের পর দূর্বৃত্তরা টাকার লোভে তাকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে এমন ধারনা করছেন অনেকেই। নিহত ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকার(২৩) নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাইনারী ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের সুণীল চন্দ সকারের ছেলে। সে দীর্ঘ ৫বছর ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের একটি স্টুডিওতে প্রথমে চাকুরি নেয় ,পরে বছর খানেক ধরে নিজ নামে আনন্দ স্টুডিও দোকান খুলে ব্যবসা করছিলেন।
এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার(জগন্নাথপুর সার্কেল) মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী আজকের স্বদেশ-কে জানান, আনন্দ সরকারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। লাশটি উদ্ধার করে উপজেলার মরচুয়ারীতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্ত শেষে লাশটি তার গ্রামের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
নিহত আনন্দ সরকারের মা জ্যোছনা রাণী সরকার জানান, সোমবার(২ডিসেম্বর) রাত ৮টায় আমার ছেলের সাথে মুঠোফোনে শেষবারের মত কথা হয়। এরপর থেকে তার সাথে আর কথা হয়নি। পরদিন সকালে আমার ছেলে আনন্দকে ফোন করলে সেটা বন্ধ পাই। এভাবে ৩দিন মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর এসে আমার ছেলের দোকান বন্ধ পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে এবং পরে থানায় জানাই। পরে জানতে পারি তালা বদ্ধ দোকানের ভেতরে আমার ছেলের মৃত দেহ রয়েছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply