নিজস্ব প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের এক মহিলা বৃহস্পতিবার বিকালে বসতঘরের তীরের সাথে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াগাঁও গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দাল মিয়ার বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে মৃত শুকুর উল্লার স্ত্রী ফুল বিবি ও মেয়ে সারফুল বেগম বসবাস করে আসছে। আত্মহত্যাকরী সারফুল বেগমের বিয়ের ১২ বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় ছেলে মেয়ে না থাকায় পেটের তাকিদে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করে আসছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সারফুল বেগমের মা ফুল বিবি মেয়েকে ঘরে রেখে গ্রামে ভিক্ষা করার জন্য বাহির হয়। বিকালে বাড়িতে এসে মেয়েকে অনেক খোঁজা খুজির পর বসত ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
সাথে সাথে আশে পাশের লোকজনকে জানালে স্থানীয় মেম্বার বজলু মিয়ার মাধ্যমে জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এস আই অনিক দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, সে মানসিক রোগী ছিল। তার মা, মেয়ে ভিক্ষা করে সংসার পরিচালনা করে আসছেন। ফুল বিবির ছেলে মেয়ে মা ও বোনের দায়িত্ব না নেওয়ায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, তাহার পরিবারের আরেক ভাই প্রায় ৭ বছর আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এস আই অনিক দেব বলেন, খবর পেয়ে আমরা নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করি। আগামী কাল শুক্রবার লাশটি সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply