জসিম উদ্দিন::
সুনামগঞ্জের ধান কাটার শ্রমিক সংকট দুর করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ করে হাওরে ধান কাটতে শ্রমিকদের আহবান করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি লিখেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে বালি পাথর উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রাখে শ্রমিক। এদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও সুরমা নদীর পানি গত ৪৮ ঘন্টায় ১৩০ সে: মিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত পাকা ধান কাটার তাগিদ অনুভব করছেন প্রশাসন ও হাওরপাড়ের কৃষক।
তবে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় দ্রুত ধান কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে হাওরে হাওরে। শ্রমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে জেলা প্রশাসক মো: সাবিরুল ইসলাম জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিজ তহবিল থেকে হারভেস্টার ক্রয় করে ভাড়ায় হাওরে দিয়ে দিতে অনুরোধ জানান। উপজেলা চেয়ারম্যানগণ জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ২/১ দিনের মধ্যে ধান কাটার মেশিন হারভেস্টার ক্রয় করে হাওরে ছেড়ে দেবেন মর্মে সহমত প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় কৃষকের বক্তব্য হারভেস্টার মেশিন হাওরে আনা হলে দ্রুত ধান কেটে গোলায় তোলা সম্ভব হবে।
এদিকে বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে ধান কাটায় শ্রমিকদের নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানছেন না বালি পাথর শ্রমিকরা। এতে করে হাওরে শ্রমিক সংকট ঘনীভুত হচ্ছে। এবার হাওরের ধান কাটার শ্রমিক সংকট মোকাবেলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার চলতি নদীতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যদের জেলা পুলিশের একটি দল হাওরে ধান কাটতে সাহেববাড়িঘাট, অলিরবাজার ওয়েজখালী, অক্ষয়নগরসহ বেশ কিছু এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন । এবং মাইকিং করেও প্রচারণা চালাচ্ছেন চলতি নদীর ধোপাজান বালি পাথর মহালে।
এসময় নদীতে বালিপাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। শ্রমিকদের কিছুদিন বালিপাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে হাওরের পাকা ধান কাটার জন্য আহ্বান জানান পুলিশ প্রশাসন। চলতি নদীর ধোপাজানবালি মহালে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১০ হাজার শ্রমিক বালি পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মতবিনিময় কালে সুনামগঞ্জ সদর থানা ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আজকের স্বদেশ/জিএস/জুয়েল
Leave a Reply