আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষনের সাত মাস পর ঘটনা প্রকাশিত হয়। আর এ ঘটনায় মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে।
চরম বিপাকে পড়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীধর্ষক ৬০ বছরের বৃদ্ধ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে সোমবার কালিহাতী থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই ছাত্রী এখন টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পরিবার ও থান সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। লেখাপড়ার পাশাপাশি দু’মুঠো ভাতের জন্য মেয়েটি একই গ্রামের এজিপির সাবেক অডিট অফিসার আনছের আলীর (৬০) বাড়িতে কাজ করত। একপর্যায়ে টাকা-পয়শা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে আনছের আলী ওই নিরীহ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে সব কিছু খুলে বলে।
এরপর ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্তা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন বিষয়টি জানার পর গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য মেয়েটির পরিবারকে চাপ দেয়। চাপে পড়ে মেয়েটিকে নিয়ে তার পিতা টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং হোমে যান গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য। কিন্তু গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তা নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানান। বর্তমানে মেয়েটি ওই নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নার্সিং হোমে কথা হয় ধর্ষনের শিকার মেয়েটির সাথে। সে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছিল, আমাকে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে আনছের নিয়মিত ধর্ষণ করত। বিষয়টি আমি যাতে কাউকে না বলি এ জন্য প্রায়ই আমাকে মারতো। আমি ছোট মানুষ কোন কিছু বুঝতে পারিনি। এখন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মেয়েটির পিতা বলেন, আমার বাচ্চা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে আনছের আলী যে সর্বনাশ করেছে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা বলতে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান তার এক প্রতিবেশী। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আনছের আলীর ছেলে সুমনের মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে অশালীন বাক্য প্রয়োগ করে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশাররফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত আনছের আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply