পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ, নানা অনিয়ম ও দৃনীতির অভিযোগ উঠেছে।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এবং নানা অনিয়ম ও দৃনীতির অভিযোগ দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন কলেজের গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্যরা।
অভিযোগে জানা যায়, ভাউলাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান গত ১৪/০১/২০১৮ তারিখে যোগদান করার পর থেকে কলেজে একক আধিপদ্য বিস্তার করে চলেছে। কমিটির লোকদের নিকট কোন পরামর্শ বা রেজুলেশন ছাড়াই বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ।
কমিটির মতামত ছাড়াই বছরে ৬টি পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা ফি বাবদ ৩ শত টাকা করে আদায় করে অধ্যক্ষ নিজেই আতœসাৎ করছেন।
২০১৯ইং সালে এইচ এস সি ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। কলেজের আয় ব্যায়ের কোন হিসেব গভর্নিং বডির সদস্যদের মতামত বা রেজুলেশন ছাড়াই একক সিদ্ধান্তেই অর্থ ব্যায় করেছেন,
যাহার কোন ভাউচার ব্যাবহার করা হয়নি। গভর্নিং বডির কোন সদস্য কলেজের কোন সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাদের বিভিন্ন ভাবে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।
গভর্নিং বর্ডির অভিভাবক সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ হাসমত আলী ও মোঃ খলিলুর রহমান জানান এ প্রতিবেদককে জানান, কলেজের আয়-ব্যায় হিসাব,
সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং কলেজের উন্নয়ন কল্পে আমাদের আমাদের কোন মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। গভর্নিং বর্ডির অভিভাবক সদস্যরা অধ্যক্ষের সকল দুর্নীতি বা অনিয়ম দুর করে কলেজের শিক্ষার মান ও উন্নয়নের সার্বিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ রহিদুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তিনি সাতদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও কারও নিকট কোন দায়িত্ব হস্তান্তর করেন না।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমি জানিনা এবং অভিযোগের কোন কাগজ আমি এখনো পাইনি।
এদিকে ভাউলাগঞ্জ কলেজের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বারবার মোবাইল ফোন কেটে দেন। তাই সভাপতির বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply