পঞ্চগড় প্রতিনিধি ::
পঞ্চগড়ে ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ফেব্রুয়ারি রাতে ওই শিশুর মা হামিদা বেওয়া বাদি হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তার মায়ের হেফাজতে রয়েছে।
গত শনিবার ১৬ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা ফুটকিবাড়ী কাশিমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পাশ্ববর্তী গড়িনাবাড়ী ইউনিয়নের মোটাপাড়া কাশিমপুর গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে পপি খাতুন (৩০) বিয়ে হয় ঠাকুরগাঁও গোয়ালপাড়ায়। কিছুদিন পর পপি ওই শিশুটিকে কাজের মেয়ে হিসেবে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যায়।
এদিকে পপির পিতা অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরন করলে পপির সন্তান ও ওই শিশুসহ মোটাপাড়া কাশিমপুর পিতার বাড়ীতে আসে। পপির সন্তানের জন্য গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় একই গ্রামের মনার বাড়ীতে পপির ছেলের জন্য দুধ আনতে বলে ওই শিশুটিকে। দুধ আনার জন্য মনার বাড়ীতে শিশুটি গেলে মনা তাকে বলে এখনো দুধ দোয়ানো হয় নাই তুমি আধা ঘন্টা পড়ে আসো।
এই কথা শুনার পর শিশুটি পপির বাড়ীতে আসার সময় সামছুল ইসলামের ছেলে আসামী রবিউল ইসলাম ওরফে টেপড়া (২১) এবং তরিকুল ইসলামের ছেলে আসামী সনিবুল্লা ওরফে সনি (২৩) সাং- কাশিমপুর এসময় ওই দুই বখাটে সনি ও রবিউল তার বড় ভাই ছবির আলীর বাড়ীর গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকে এদিকে রবিউলের বড় ভাই ছবির তার স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকার সুযোগে একা পেয়ে শিশুটিকে ডেকে নেয়। ওই শিশুটি দুই বখাটের সামনে গেলে আসামী রবিউল শিশুটির মুখ চাপিয়া ধরে এবং সনিবুল্লা সনি শিশুটি হাত দুটি চেপে ধরিয়া জোর পূর্বক পাজাকোলা করে ছবির আলীর শয়ন ঘরে লইয়া যায়।
এসময় সনি ঘর থেকে বের হয়ে বাইরের দরজা আটকিয়ে পাহারা দেয়। রবিউল শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ওই বখাটে শিশুটিকে ধর্ষণের পর ভয় দেখিযে বলে একথাটি যেন কাউকে না বলে এবং শিশুটিকে ঘর থেকে বের করে দেয়। শিশুটি পপির বাড়ীতে গিয়ে পপিকে ধর্ষনের কথা বলাতে শিশুটি কেদে বলে আমাকে সনি এবং রবিউল জোর করে চেপে ধরে নিয়ে গিয়ে রবিউল আমাকে ধর্ষণ করে।
তাৎক্ষনিক ওই শিশুটির মাকে পপি ফোন করে ডেকে এনে সব কথা তাকে জানায়। পরদিন সকালে পপি তার স্বামী শিশুটির মামা দুলাল ও শিশুটির দাদা শাহাজাহানকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে শিশুটির মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে দেয়।
এদিকে বিধবা হামিদা বেওয়া নিরুপায় হয়ে দেবর দুলালকে অবিভাবক হিসেবে ধর্ষণ ঘটনার বিচার চাহিয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য বশিরুল আলমকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। মেম্বার ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে আসামীর পক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে আসামী পক্ষ মিমাংসার কথা বলিয়া সময় নষ্ট করে।
তাই শিশুটির মা হামিদা বেওয়া নিরুপায় হয়ে দেবর দুলাল ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফকে নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় হাজির হয়ে গত মঙ্গলবার ১৯/০২/২০১৯ ইং তারিখে ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতান দমন আইনে (সংশোধনী/২০০৩) ্এর ৯(১)/৩০ মামলা দায়ের করে বিচার দাবী জানান।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু আক্কাছ আহমদ তিনি জানান ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply