গোলাম সারোয়ার::
বিকাশ ও ইমু প্রতারক চক্র হতে সাবধান। দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশ ব্যবসা পরিচালনা করে ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এ লেখা। গত ১মাস পূর্বে বিকাশ ও প্রায় ১৫ দিন পূর্বে ইমু প্রতারণার মাধ্যমে আমাদের বাজারের দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় প্রতারক চক্র।
সুনামগঞ্জ র্যাবের সফল অভিযানে একজনের টাকা উদ্ধার হলেও আরেক জনের টাকা উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন র্যাব ও পুলিশের লোকজন। প্রথমে আসি রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সবার প্রিয় মুখ খেলাধুলার জগতের সবার পরিচিত তরুন সুলেমান মিয়ার কথায় লেখাপড়ায় এমএ পাশ করে দীর্ঘদিন বেকার থেকে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকি শুরু করতে যাচ্ছিল। এজেন্ট ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার জন্য বিকাশ এজেন্ট সিম নেয়। তার এজেন্ট সিমের সাথে আমারও একটি এজেন্ট সিম আসে।
সোমবার (১৫ জুলাই) প্রায় সাড়ে ৪টার দিকে একটি অপরিচিত ০১৮১৭-৯৩৭৩১৬ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে যে সে বিকাশ অফিস থেকে ফোন দিয়েছে। তার দোকানে তথ্য সংগ্রহ করবে। তার কাছে বিকাশ মার্কেটের বিটিবি নাম্বার চায়। বিটিবি নাম্বার দিলে একটু পরে ০১৭৫৪৯৩০০৫৩ এই দিয়ে ফোন দেয়। এই নাম্বার ফোনে সেভ থাকায় ফোনে সেভ চলে আসে, সে সহজ সরল হওয়ায় অফিসের লোক মনে করে বিশ্বাস করে আলাপ করতে থাকে। তার সিমে লেনদেন কম হওয়ায় এজেন্ট সিমে বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা লোড করে দেনদেন বেশি দেখানো কথা বলে।
কথা হচ্ছে সে যে নতুন এজেন্ট নিয়েছে এটা প্রতারক চক্র জানলো কিভাবে আবার তার ফোনে লেনদেন কম হচ্ছে এটাও বলে দিচ্ছে? তার মানে বিকাশ কম্পোনীর সফটওয়্যার এত দুর্বল নাকি? যাতে অন্য কেউ এসব তথ্য সহজে জেনে যায়। না প্রতারক চক্রের সাথে কোন লোক জড়িত ? এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা জন্য বার বার তার পরিবার থেকে বলা হচ্ছিল।
যখন বিকাশের লেনদেনের তথ্য জানতে যাওয়া হয়। প্রথমে জগন্নাথপুর পরে সিলেট বিকাশ কাষ্টমার কেয়ার সহ বিকাশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে কিন্তু কেউই সহযোগিতা করার মনভাব দেখান নাই। বার বার যোগাযোগ করে পরে বিকাশ থেকে জানানো হয় কোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে আসতে হবে। বিকাশ যদি তথ্য দিতে তালবাহানা করে তাহলে কিভাবে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করবে?
তার প্রতারনাটা ছিল ভিন্ন সব সময় ফোন করে অন্য সিমে টাকা নিলেও এবার তার নিজের এজেন্ট সিমে লোড করতে বলে। এ কথায় সুলেমান মনে মনে চিন্তা করে আমার সিমে তো আমি লোড করছি টাকাটা আমার থাকবে। অল্প সময় পরে তার পরিবারের ৪টি সিমে টাকা লোড করতে বলে একে একে ২৫ হাজার করে ৪টি সিমে টাকা লোড করে এ সিমগুলোতে কোন রকম ভেরিফাই কোড ছাড়া টাকা নিয়ে নেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। তার কাছে ফোন দেওয়া প্রায় ১ সাপ্তাহ পূর্বে আমাকে প্রতারক চক্র ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম র্যাবের অফিস তোমাদের অফিস থেকে কত দুর এ কথা শুনে সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। আর আমাকে ফোন দেয় নাই। এ বিষয়টি সুলেমানকে বলেছিলাম।
মিডিয়াতে কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন সময় এভাবে শত শত অভিযোগ শুনতে হয়। এবারের ঘটনাটি নিজের কাছে থাকায় বেশি অভিজ্ঞতা হয়েছে। সুলেমানের সাথে প্রতারনা হওয়ার সাথে সাথে বিকাশ হেল্প নাইনে ফোন দিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ২দিন সময় নিয়েও তারা কিছু করতে পারে নাই বলে, তাহলে কি বিকাশ কম্পোনী ব্যর্থ তাদের কি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার সুযোগ নেই। এভাবে যদি ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হন। কত দিন তারা ব্যবসা পরিচালনা করবেন?
চলবে…………………………………………….
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply