শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): প্রতিনিধি:
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী বাজার এলাকায় জয়নাল আবেদীন কর্তৃক আবদুল মুকিত নামের এক প্রবাসীর ক্রয়কৃত ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেচনে উত্তর বৌগলারখাড়া মৌজার এ জমি দখলের অভিযোগ করেছে সৌদীআরব প্রবাসী আবদুল মুকিতের স্ত্রী জহুরা খাতুন ওরফে বাশি বেগম এবং তার ভাই আলী আহমদ দুলাল। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে এমন অভিযোগ করেন তারা।
তারা বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে বাড়ির পাশে ১৫ শতক জায়গা ক্রয় করেছিলে তারা। এখানে কোনো সমস্যা ছিলো না। জমি কেনার শুরু থেকে তাদের সীমানায় বেড়া দিয়ে জমি আলাদা করে রেখেছেন। কেউ কোনো বাঁধা দেয় নি। দু’বছর আগে তেহকিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন নামের আওয়ামীলীগের এক কর্মী আমাদের জমিতে এসে খুঁটি মেরে দখল নিয়ে নেয়। আমরা অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেও তাদের বুঝাতে পারিনি। তখন দলের প্রভাব দেখিয়ে জায়গা দখল করে নিয়েছিলো। কিছু দিন আগে আমরা আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে তাদের অনুরোধ করি। এখন তারা আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছে।
জহুরা খাতুন ওরফে বাশি বেগম বলেন, আমার কোনো ছেলে সন্তান নেই। আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। ভাই দুলালও প্রবাসে ছিলো। এই সুযোগে তারা আমার ক্রয়কৃত জমিতে এসে খুঁটি মেরেছিলো। তখন আমি বাঁধা দিয়েছি। আমাদেরকে তারা তখন গালাগালি করেছে। ক্ষমতা দেখিয়ে জোর করে আমার জমিতে তারা খুুঁটি পুঁতেছিলো।
আলী আহমদ দুলাল বলেন, আমরা ভট মেম্বার সাহেব ও তার ভাইদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। ক্রয় করা জমিতে এসে কীভাবে তারা খুঁটি পুঁততে পারে? আমরা বার বার বলেছি, আপনাদের জায়গার কাগজ থাকলে তা নিয়ে আসুন। বসে আলোচনা করি। তারা কাগজ নিয়ে আসে না। আমি প্রবাসে ছিলাম। সে সুযোগে খুঁটি পুঁতেছিলো। এখন বার বার অনুরোধ করেছি। আমাদের জায়গা থেকে খুঁটি তুলে নিতে। কিন্তু তা তারা কর্ণপাতই করেন নি। পরে তাদের সাথে আলোচনা করেই আমি খুঁটি তুলেছি।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে এই জমির মালিক। আমি কারো জমি দখলে যাইনি। আমার জায়গা একদাগে এবং তাদের জায়গা আরেক দাগে। তারা জোরপূর্বক আমার জমিতে এসে খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। আমার সাথে তারা কোনো কথাই বলেনি। এখন যা বলছে বা আমার উপর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সকলে মিলে তাদের জমি আলাদা করে দিয়েছি। তারা এভাবে খুঁটি উপড়ে ফেলতে পারেন না। আমিই তাদের বলেছি, যদি তোমাদের কাগজ থাকে তাহলে দু’জন মুরব্বি নিয়ে বসে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান দেই। কিন্তু তারা বসতে চায় না। জোর দেখানোর চেষ্টা করে। তাদের জমি আমাদের এদিকে এসে থাকলে আমাকে বলবে আমি খুঁচি উপরে সে জমি বের করে দেবা সে নিজে কেনো আইন হাতে তুলে নিবে? এখন আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইন যা করে সে অনুযায়ী আমি এগুবো।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা যেনো অবনতি না হয় এজন্য আমরা ১৪৪ ধারা জারি করেছি। ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষ এই জমি থেকে দূরে থাকবেন।
Leave a Reply