বিশেষ প্রতিনিধি::
অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে দালালদের প্ররোচনায় জমি বিক্রি করে লিবিয়া যায় একুয়ান। সেখানে তাকে মারধর করে। মাফিয়া চক্রের কাছ থেকে তাকে বাঁচাতে ১০ লাখ টাকা এবং ইতালি পাঠানোর জন্য আরও ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরেছে একুয়ান। গত শুক্রবার লাশ বাড়ীতে এনে পারিবারিক কবর স্থানে দাপন করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামের মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে একুয়ান মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে একুয়ানের বাবা একই গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে আবুল মিয়া (৫০), আবুল মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগম (৪০), আবুল মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৫)। দিরাই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার মেয়ে সালেহ আহমদ (৪৫)কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়ের এর সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রীধরপাশা গ্রামের তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের ৩জন সহ দিরাই উপজেলার ৪জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য যে, লিবিয়া থেকে ইতালীতে পাঠানো কথা বলে শ্রীধরপাশা গ্রামের আলী হোসের ধাপে ধাপে ১৯ লক্ষ টাকা নেয়। গত ১৬ জুন সাগরপথে ইতালি যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় একুয়ানের। গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় একুয়ানের মরদেহ শুক্রবার দেশে আসে। শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের পর গ্রামের বাড়িতে আসে তাঁর মরদেহ। পরে জানাযা শেষে পারিবারিব কবর স্থানে দাপন করা হয়।
Leave a Reply