পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ
ফেনীতে গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় নাঈমুল ইসলাম নামের এক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১৭ জুলাই) ফেনীর সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে ১৪৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত অপর আসামী সাগরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে গরু ব্যবসায়ি শাহজালাল হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আটককৃত সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জসিমউদদীন। শুনানী শেষে সাগরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফেনী শহরের টেকনিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে আলোচিত এ মামলায় নাজমুল হাসান নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। নাঈম ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মান্দিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে নাঈম স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের একটি সূত্র জানায়, নাঈমের স্বীকারোক্তির ভাষ্য মতে, সে দীর্ঘদিন কাউন্সিলর কালামের জন্য কাজ করে আসছে।
শুক্রবার রাতে কালামের ভাতিজা রাজু নাঈমকে চা দোকানে আড্ডা থেকে ডেকে নেয়। পরে তারা গভীর রাতে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে গরু বোঝাই ট্রাক থামিয়ে গরুর মালিককে খুঁজে। এসময় পাশ থেকে একজন (আল আমিন) এসে কথা বলার এক পর্যায়ে কাউন্সিলর ফাঁকা গুলি ছোটে। এক মহিলা কাউন্সিলের পা ধরে মাপ চেয়ে ওই লোকটিকে ছাড়িয়ে নেন। এসময়ে আশপাশের লোকজন গুলির আওয়াজ শুনে সরে যায়। পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কাউন্সিলর কালাম তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গরুর মালিক শাহজালালের বুকে গুলি চালায়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পরে কালাম,রাজু আর আমি লোকটাকে ধরাধরি করে লাশটি পুকুরে রেখে আসি। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, গরু ব্যবসায়ি শাহ জালাল হত্যা মামলায় একজনের স্বীকারোক্তি ও অন্য জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাক বোঝাই গরু ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় শহরের সুলতানপুর এলাকায় শাহজালাল নামের এক মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে কাউন্সিলর কালামসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহত শাহ জালালের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় কাউন্সিলর কালাম ও তার সহযোগী রাজু এবং নাঈমের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন সাগর নামের একজনকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে।
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply