অভিযোগ৷এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে
বিশেষ প্রতিনিধি::
নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউম্দা ইউনিয়নের কুরশা মিয়া খানি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুখলেছুর রহমানের পরিবার ও দুই প্রবাসীদের প্রায় ৬৩ শতক ভুমি নানা কৌশলে জবর দখল করে পুকুর খননের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করলে এবং ভুমির মালিক পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে৷
অভিযোগে উল্লেখঃ উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল পানিউম্দা ইউনিয়নের কুরশা মিয়া খানি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুখলেছুর রহমানের পুত্র হাফিজুর রহমান বাচ্চু ও তার চাচাতো ভাই উমান প্ররাসী মোহিদ মিয়া ও বাহরাইন প্রবাসী আবদাল মিয়া গংদের মালিকানাধীন ও তাদের পিতৃ সম্পদ প্রায় ৬৩ শতক ভুমি নানা কৌশলে জোরপূর্বক জবর দখল করে পুকুর খননের গুরুতর অভিযোগ ওঠে৷ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে, জবরদখলকারী প্রভাবশালী লাটিয়াল বাহিনী গজনাই পুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত ইউসূফ মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া ও আলমগীর মিয়া ও তাদের লোকজন কর্তৃক উল্লেখিত পরিমান জায়গা দখল করে এক্সভেটর মেশিন দ্বারা মাটি কেটে তড়িৎ গতিতে পুকুর খনন করেছেন৷
উক্ত ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়৷ এক পর্যায়ে ভুমির মালিকানা দাবী করে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নবীগঞ্জ থানার ওসির নির্দেশে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন৷
এ বিষয়ে গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার সংবাদ পেয়েই এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের একদল পুলিশ উত্তেজিত পরিস্থিতি শান্ত করে৷ এদিকে এঘটনায় ভুক্তভোগীরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷
অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি আলমগীরকে ঘটনাস্থলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে ভুমি জবর দখলের কথা অস্বীকার করে বলেন এই জায়গা তাদের বৈধ সম্পত্তি৷
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply