নিজস্ব প্রতিনিধি::
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের মৃত আফছর মিয়ার পুত্র কৃষক জিলুয়াছ মিয়া ওরফে (গয়াছ) (৪৫) নামের ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে জিম্মি করে একদল লোক তাদের বাড়ীতে তুলে নিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন।পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ মে সোমবার সকাল ১১টার দিকে। কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিনিধির সাথে অভিযোগ করে নির্যাতনের শিকার গয়াছ মিয়া বলেন,একই ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ মিয়ার পুত্র মোঃ ছাবু মিয়া গংদের সাথে ওই কৃষকের পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরধরে ঘটনার ওইদিন উল্লেখিত সময়ে তিনি সঈদপুর বাজার যাওয়ার পথিমধ্যে -ইনাতগঞ্জ সড়কের জিয়াপুর গ্রামের নিকটে সিএনজি অটোরিকশার পথরোধ করে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে টেনেহেছড়ে জিম্মি করে ছাবু মিয়াও তার ভাই জিলু মিয়ার নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একদল লোক তাকে ছাবু মিয়ার বাড়ীতে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবন্ধ করে ঘরের ভেতরে চালায় নির্যাতনের ষ্টিমরোলার।
এসময় হামলাকারীরা তার কাছথেকে গরু কেনার জন্য রাখা নগদ টাকাও চিনিয়ে নেয বলে অভিযোগ করেন। এদিকে কৃষককে জিম্মি রাখার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই রুবেল ও এস,আই অনিক বাবু সহ স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম জুয়েল,ওয়ার্ড মেম্বার ছাদিক মিয়া সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তাৎক্ষণিক এবিষয়টি সামাজিক বিচারের মাধ্যমে শেষ করার জন্য উপস্থিত পুলিশকে অনুরোধ জানালে ১৪ মে মঙ্গলবারে ইউনিয়ন অফিসে সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে বিচারের পূর্বেই আবারো গয়াছ মিয়ার পুত্র কিবরিয়াকে রাস্তায় আটক করার চেষ্টা করেন ছাবু ও তাদের লোকজন,প্রাণের ভয়ে কিবরিয়া দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পান ।
এই ঘটনায় সামাজিক বিচার থেকেও বঞ্চিক হন গয়াছ মিয়া। এদিকে কৃষক গয়াছ মিয়া ও তার পরিবারের মধ্যে এনিয়ে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।