পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জরিতদের বিচারের দাবি যানিয়ে পঞ্চগড়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পঠি করেন পঞ্চগড় হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ধর্মব্যবসায়ীরা হেযবুত তওহীদকে হামলার লক্ষবস্তু বানিয়েছে তার কারন হেযবুত তওহীদ এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ,সাম্প্রদায়ীকতা জঙ্গিবাদ সহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
হেযবুত তওহীদ এই সত্য তুলে ধরার দরুন ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে। বক্তব্যে আরো বলেন তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারি আলেমেরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদরাসা থেকে ছাত্রদের ডেকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়ীতে আক্রমন করে।
ধর্মব্যবসায়ীরা মিথ্যা প্রোপগন্ডা চালায় হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করতেছে। কয়েকটি মসজিদের মাইকে প্রচার করে বলতে থাকে হেযবুত তওহীদের গির্জা ভাঙ্গো, খ্রিষ্টান মারো। এই উসকানিতে স্থানীয় জামাত, শিবির ইসলাম শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সন্ত্রাসীরাসহ মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক সহ হেযবুত তওহীদের নিজস্ব জায়গার নির্মানাধীন মসজিদটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
এসময় সন্ত্রাসিরা তান্ডব চালিয়ে সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহিম রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে জবাই করে চোখঁ উপড়ে, হাত পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করার পর লাশের উপর পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পুলিশ এসে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ী আটকিয়ে ওই ধর্মব্যবসায়ীরা আহতদের হত্যা করার উদ্যেশে মরিয়া হয়ে উঠে। হেযবুত তওহীদের অভিযোগ এই ঘটনায় তারা আক্রান্ত হলেও আক্রমনকারিদের সাথে তাদেরকেও মামলার আসামী করেছে পুলিশ।
ওই আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও প্রকাশ্যে দাটটের সাথে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের আটক করছেনা। এদিকে ওই সন্ত্রসীরা আবারও হুমকি দিচ্ছে দুজনকে মেরে ফেলেছি আরও মরেবো। সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় বিচারের দাবী করা হয়।
সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হেযবুত তওহীদ সদস্যদের ক্ষতিপুরন এবং পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ, সদর উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।