নিজস্ব প্রতিনিধি::
নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে স্বামীর সংসার থেকে পালিয়ে গিয়ে খেলা আক্তার (২৫) নামের এক সন্তানের জননী'র অন্যত্র বিয়ে নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
এতে অসহায় দিনমজুর স্বামী ও সন্তান পড়েছেন বিপাকে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে।
জানাযায়, উপজেলার ওই গ্রামের মৃত আফতাব উল্লার পুত্র দিনমজুর আমির উদ্দীন স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন প্রায় ৯ বছর বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত সুরোজ মিয়ার কন্যা খেলা আক্তারকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক কাবিনমূলে বিবাহ করেন।
এর পর তাদের দাম্পত্যজীবনে ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়,তার নাম রাখা হয় সানিয়া আক্তার এই সানিয়া আক্তারকে দেড় মাস বয়সের রেখেই স্বামীর সাথে ঝগড়া
বিবাদ করে খেলা আক্তার পিত্রালয়ে চলে যান,বর্তমানে তার মেয়ে ৮ বছর বয়সী এবং সে স্থানীয় একটি স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
এদিকে খেলার স্বামী আমির উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন তার ঘরথেকে খেলা আক্তার পালিয়ে গিয়ে নগদ টাকা পয়সা ও কিছু স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
স্ত্রী পিত্রালয়ে যাবার পর একাধিকবার তাদের বাড়িতে গিয়ে আনার চেষ্টা করলেও বঝরের পর বছর খেলা বেগম স্বামীর সংসারে আসেননি, এর পরথেকে স্থানীয় ময়মুরুব্বিয়ান সহ গ্রামের অনেক সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও কোন সুরাহা পাননি, আমির উদ্দীন।
তারপর ২০১৩ সালে খেলা বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে নানা অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন,উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারারাধীন থাকা স্বত্ত্বেও তার স্ত্রীর সাথে তার কোন তালাক অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেনি।
অসহায় আমির উদ্দীন আরও অভিযোগ করে বলেন, মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার খলিলপুর ইউনিয়নের কম্মদপুর গ্রাম থেকে রুস্তমপুর গ্রামে আশ্রয় নেয়া বিভিন্ন মামলার আসামী আব্দুল আউয়াল নামের এক সন্তানের জনকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে তার সাথে মৌখিকভাবে বিবাহ হয়।
তবে ওই বিতর্কিত আউয়ালের ও আরেক স্ত্রী সন্তান রয়েছে।এনিয়ে স্থানীয় গোপলার বাজার কাজী অফিসের দায়িত্বে থাকা কাজী ফৌরস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
এই খেলা আক্তারের বিবাহের আরেকটি রেজিষ্টারী করতে খেলার আত্মীয় স্বজনেরা আমাকে বলেছিলেন,
তবে পূর্বের স্বামীর অভিযোগ থাকায় ও খেলা আক্তার তালাকপ্রাপ্ত না হওয়াতে আমি এই বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি অথবা আকদ করাইনি,
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন একজনের স্ত্রী, আরেকজনের কাছে বিবাহ হচ্ছে আমি এই ধরনের বেআঈনী কাজ কখনো করিনা । এই ঘটনায় এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।