পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাত কাদিয়ানীকে অমুসলিম ঘোষণাসহ বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিম জনতা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষুব্ধ লোকজন ব্যাপক ভাবে তান্ডবসহ আহমদিয়া মুসলিম জামাত অনুসারীদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চালায়। তারা কাদিয়ানীসম্প্রদায়ের অনুসারীদের ৮/১০ টি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
গত মঙ্গলবার রাত ৯ টায় জেলা শহরের ধাক্কামারা আহমদ নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। একই সময় পঞ্চগড় শহরের শেরে বাংলা পার্কের মোড়ের পঞ্চগড়-দিনাজপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ করে মুসলিম জনতা।
এক পর্যায়ে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে মুসলিম জনতার উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। আগামী ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ধাক্কামারা আহমদ নগর এলাকায় বার্ষিক সালানা জলসা আহবান করে আহমদিয়া মুসলিম জামাত।
জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচী ঘোষণা করে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটি ও পঞ্চগড় যুব সমাজ নামে কয়েকটি সংগঠন। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসন।
বৈঠকে জলসা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থগিত ঘোষনার পরও বিক্ষোভ ও ভাংচুর করে মুসলিম জনতা। এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অর্ধশত আহত হন। আহতদের মধ্যে ২১ জন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার পর অনেকে চলে যায়।
এসময় এক আহত রুগিকে রংপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক পরামর্শ দেন। আহতদের মধ্যে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।
রাত ১১ টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবি দুস্কৃতিকারিরা দুই ঘন্টা তান্ডব চলিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দীন আহমেদ।
এসময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে জলছাটি স্থগিত করা হয়। স্থগিত ঘোষণা দেওয়ার পরও অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।