আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশনের অনুমতিক্রমে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে তার স্থলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিএনপির বৈধ প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন।
নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন গঠিত।
নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান প্রামাণিক জানান, বিএনপির বৈধ প্রার্থী দাবি করে মো. মোস্তাফিজুর রহমান উচ্চ আদালতে রিট করেন।
তিনি জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে ধানের শীষের বৈধ প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে নথিপত্র নওগাঁ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। পরে নথি যাচাই করে এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার রাতে আগের প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে তার স্থলে বিএনপির মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষের বৈধ প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।
মো. শাহিনুর রহমান প্রামাণিক বলেন, এখন নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির বৈধ প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তার অনুকূলে এরই মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমরা এরই মধ্যে নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করেছি এবং নওগাঁ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ায় ব্যালট পেপার পরিবর্তন করার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বিএনপির হাইকমান্ড দলীয় মনোনয়ন দেয়। আমি নির্ধারিত সময়ে দলীয় সমর্থনের প্রত্যয়নপত্র নওগাঁর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেই এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে শেষ সময়ে আমার পরিবর্তে নওগাঁ-১ আসনে ডা. ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় রিট করি। গত ২০ ডিসেম্বর শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আমাকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমি এখন ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা এলাকায় গণসংযোগ, প্রচার, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আজকের স্বদেশ/আবু বকর
Leave a Reply