সরেজমিন পরিদর্শণে হবিগঞ্জ জেলা আর,ডিসি’র নেতৃত্বে ৩ সদস্যের টিম
নিজস্ব প্রতিনিধি::
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের পশ্চিম গালিমপুর গ্রামের পাশ্ববর্তী মরকা কালনী গোলমা নদীর ইজারা নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের ও উল্লেখিত নদীর নিকটবর্তী বাসিন্দা পশ্চিম গালিমপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সম্পাদক নিখিল নম সহ মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করে বলেন তাদের বাড়ি এই নদীর নিকটবর্তী হওয়া স্বত্ত্বেও রহস্যজনকভাবে নদীর দুরবর্তী আরেকটি সমিতিকে উক্ত নদীটি ইজারা প্রদান করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে প্রকৃতপক্ষে নদীর ইজারা দাবীদার পশ্চিম গালিমপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক নিখিল নম, গত ১১ ডিসেম্বর বাদী হয়ে উক্ত নদী ইজারার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব)এর আদালত সিলেট বিভাগ, সিলেট এতে আপিল করেন।
এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) এর আদালত সিলেট বিভাগ,সিলেট কর্তৃক এক আদেশে উল্লেখিত বিষয়ে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ এর জবাব চাওয়া হোক মর্মে ও উল্লেখ থাকে।
নালিশা জলমহাল হতে টেন্ডারে অংশ গ্রহনকারী সমিতি দ্বয়ের সঠিক অবস্থান নির্ধারণের জন্য আরডিসি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা সমবায় অফিসার,হবিগঞ্জ এর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বলা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ আরডিসি, নবীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার ও উপজেলা সার্ভেয়ার সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এতে উভয় পক্ষের সমিতির সঠিক কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করেন।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ইয়াছিন আরাফাত রানা তদন্তের স্বার্থে তেমন কোন বক্তব্য দিতে চাননি ,
তবে তিনি সংক্ষিপ্ত ভাবে বলেন বিরোধপূর্ণ জলমহালটির নিকটে যাদের বাড়ী সেটাই নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেয়া হবে, বাকি সিদ্বান্ত নিবেন বিজ্ঞ আদালত।
এনিয়ে আপিলকারী ব্যক্তি নিখিল নম বলেন, আমার বাড়িটি নদীর নিকটবর্তী, তাই আমি জলমহাল ইজারা পাওয়ার যোগ্য, আমার বিশ্বাস বিজ্ঞ আদালত এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট আমি ন্যায় বিচার পাবো।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply