আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
কৃষিঋণের খেলাপি কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টিসহ নানা কারণে কৃষক ফসল উৎপাদন ও আহরণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যে সকল কৃষক ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ সুবিধা গ্রহণ করেছেন তারা বর্ধিত সময়েও ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না।
ফলে পুনঃতফসিলকৃত কৃষিঋণের একটি বড় অংশ পুনরায় শ্রেণিকৃত (খেলাপি) হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা গ্রামীণ কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়ে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এ প্রেক্ষিতে জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষিখাতের গুরুত্ব বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মধ্যে রয়েছে- স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে বিনা ডাউন পেমেন্টেও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ঋণ পুনঃতফসিলের পর কৃষকদেরকে পুনরায় নতুন করে স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো নতুন জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল করে পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।
সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা উত্তোলন/নিষ্পত্তিপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৫/২০১৫ এর আওতায় ইতোপূর্বে পুনঃতফসিলকৃত স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত সুবিধাদি প্রযোজ্য হবে।
নতুন নির্দেশনার সুবিধাগুলো আগামী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply