স্বদেশ ডেস্ক::
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে কারাদণ্ড থাকার অভিযোগ বিএনপি নেত্রীর তিনটি মনোনয়নই বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অন্যদের মতোই দুই নেত্রী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দিয়েছেন। হলফনামায় নিজেদের সম্পদের পরিমাণ, পেশা, আয়ের উৎস ও মামলা বিবরণসহ নানা তথ্য উল্লেখ উল্লেখ করা হয়েছে।
হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে বর্তমানে মাত্র ৮৪ হাজার টাকা রয়েছে। তবে তার বছরে আয় ৭৭ লাখ টাকা। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বেশি আয় কৃষিখাত থেকে। কৃষি খাতে তিনি বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাসা ভাড়া দিয়ে বছরে আয় করেন ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ৬২৫ টাকা। আর রয়্যালিটি বাবদ আয় ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯ টাকা, আমানত ও সঞ্চয়পত্রে রয়েছে ১২ লাখ টাকা। এছাড়া তিনি সম্মানী ভাতা পান ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে তার আয় ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬০ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে জমা রয়েছে মোট ৭ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৩ টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমনত রয়েছে ৫ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা দামের একটি দানপ্রাপ্ত যানবাহন রয়েছে।
শেখ হাসিনার ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। আর ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তার।
এছাড়া শেখ হাসিনার জমি রয়েছে ৬ একর। যার দাম ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬ লাখ ৭৫ হাজার মূল্যের অকৃষি জমি। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমানে কোনো ঋণ নেই।
অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তার হলফনামায় যে তথ্য উল্লেখ করেছেন সেখানে বলা হয়েছে, তার হাতে বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে ৫০ হাজার ৩০০। এছাড়া তার ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৭ টাকা। শেখ হাসিনার বাড়ি ভাড়া থেকে আয় থাকলেও খালেদা জিয়ার বাড়ি ভাড়া থেকে কোনো আয় নেই।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের দুটি গাড়ি রয়েছে। গাড়ি দুটির মূল্য ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এছাড়া তার তেমন স্বর্ণালঙ্কার নেই। মাত্র ৫০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে খালেদা জিয়ার। তবে ইলেকট্রনিকসসামগ্রি রয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার। আর ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
শেখ হাসিনার ৬ একর জমি থাকলেও খালেদা জিয়ার উল্লেখ করার মতো কোনো জমি নেই। খালেদা জিয়ার কৃষি জমির অর্জনকালীন মূল্য মাত্র ১২ হাজার টাকা।
তবে তিনি ক্যান্টনমেন্টে তার যে বাড়ি ছিল সেটির কথা উল্লেখ করেছে। ওই বাড়িটির মূল্য ১০০টাকা; যা বর্তামানে দখলে নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বাড়ি বাবদ ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply