স্বদেশ ডেস্ক::
প্রভাতের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ইসা হকের চায়ের দোকান। পেশায় একজন চা বিক্রেতা হলেও ইসা হকের রয়েছে পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা।
প্রতিদিন অসংখ্য শালিক পাখির আনাগোনায় মুখর থাকে ইসা হকের চায়ের দোকান। এসব পাখিকে নিয়ম করে দিনে ১০-১২বার খেতে দেন ইসা হক। দিনের বেশির ভাগ সময় তিনি নিজেই পাখিদের খেতে দেন। আবার কখনো দোকানের আগত ক্রেতাদের উৎসাহী করেন পাখিদের খেতে দিতে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজারে পাখিদের এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পথচারীসহ অসখ্য মানুষ। এখন শুধু ইসা হক নয়, তার দেখাদেখি এই বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এসব পাখিদের খাবার দেন।
মিরপুর বাজারের চা দোকানি ইসা হক বলেন, প্রায় দেড় বছর হলো আমার দোকানে শালিক পাখি আসতে শুরু করেছে। প্রথমে আমি এসব পাখিকে খাবার দিতাম। এখন আমার দেখাদেখি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা পাখিদের খাবার খাওয়ান। এছাড়াও দোকানে আগত অনেক ক্রেতা এসব পাখিকে খেতে দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন এসব পাখিকে প্রায় ২০টি পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর, সিঙাড়াসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দেন। আবার অনেক হোটেলের বেঁচে যাওয়া বাশি খাবার পাখিদের দেয়।
স্থানীয় বাজারের রুমন বেকারির মালিক মহির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে খাবারের সন্ধানে অসংখ্য শালিক পাখি জড়ো হয়। আমাদের বেকারির অবিক্রীত খাবার এসব পাখিদের আমরা খেতে দেই। একসঙ্গে এতগুলো পাখি দেখে আমার খুব ভালো লাগে।
এ বাজারের আরেক ফলের দোকানি হাসান আলী বলেন, সকাল হলেই এখানে পাখি আসতে শুরু করে। আমি এসব পাখিকে ফল খেতে দেই।
হোটেল মালিক প্রকাশ বলেন, প্রথমে এসব পাখিকে চা দোকানি ইসা হক খাবার দিত। এখন প্রতিদিন আমাদের হোটেল থেকে যেসব শিঙাড়া, জিলাপি বেচে যায় এগুলো আমরা পাখিদের খেতে দেই।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply