মোঃ তাজুদুর রহমানঃ
শারদীয় দুর্গাপূজার ৬ দিন আগেই শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাও ইউনিয়নের ইছামতি চা-বাগানে মঙ্গলচন্ডী সেবাশ্রম নব দূর্গা মন্দিরে শুরু হয়ে গেছে দেবী দূর্গার পূজা। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেবীর পৃথক ৯টি রূপের প্রতিমা।
১০ অক্টোবর বুধবার থেকে শুরু হওয়া ১০ দিন ব্যাপী এ পূজা চলবে ১৯ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল থেকে এ পূজা দেখতে মণ্ডপে ভীড় করছেন প্রচুর দর্শনার্থী।
সরাদেশে হাজার হাজার পূজামণ্ডপে কারিগররা যখন ব্যস্ত প্রতিমা তৈরির কাজে, সেখানে দেশের একমাত্র এ মণ্ডপে শুরু হয়ে গেছে পূজার্চনা। ঢাকের আওয়াজে মোহিত হচ্ছে মন্দিরের চারপাশ। নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
শ্রীমঙ্গল ইছামতি চা বাগানে মঙ্গলচণ্ডির থলিতে পৌরাণিক নিয়ম অনুসারে দেবী দুর্গার নয়টি রূপে নয় দিনব্যাপী পূজার্চনার প্রথম দিনে বুধবার শৈলপুত্রী রূপে পূজিত হন তিনি। এভাবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত শ্রীশী ব্রহ্মচারিণী মাতা দেবী, চন্দ্রঘন্টা মাতা দেবী, কুষ্মাণ্ডা মাতা দেবী, স্কন্ধমাতা দেবী, কাত্যায়নী মাতা দেবী, কালোরাত্রি মাতা দেবী, মহাগৌরী মাতা দেবী, সিদ্ধিধাত্রী মাতা দেবী ও নির্মাল্যবাসিনী দেবী রূপে মা দূর্গার পূজা করা হবে।
পূজা কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক জানান, অসুরদের দমন করে মা দুর্গা যেভাবে স্বর্গরাজ্য জয় করেছিলেন, ঠিক সেভাবে পৃথিবীর সকল অশান্তি দূর করবেন- এমন আশা নিয়েই এ বছর এ পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
পূজা কমিটির সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত দাশ জানান, এ দেবস্থলিটি শ্রীমঙ্গলের সর্বাধিক প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৫০০ বছর ধরে এখানে রয়েছে মঙ্গলচণ্ডি দেবীর থলি। অনেকে শ্রীমঙ্গল নামের উৎপত্তিও এই শ্রীশ্রী মঙ্গলচণ্ডির থলি থেকে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন।
পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দত্ত জানান, ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে গত ৮ বছর ধরে তারা এখানে দেবীর নবরূপে পূজা করে আসছেন। তবে এর স্থায়ী রূপ দিতে সরকারসহ দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা প্রয়োজন।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply