ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে গত ৬দিন ধরে নৌবন্দর এলাকায় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। ফলে সুরমা ও পিয়ান নদীতে প্রায় শতাধিক বল্কহেড ও জাহাজে বালু পাথর লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে।
ছাতক নৌ-বন্দরে স্থায়ী ঘাট স্থাপন ও সকল প্রকার বল্কহেড-কর্গো নৌবন্দর সীমানা অতিক্রম না করার দাবীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে।
ফলে ৫টি সংগঠনের আওতাধীন প্রায় ১৫হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ জটিলতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরি উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার সুরমা ও পিয়ান নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারনে ছাতক নৌবন্দর এলাকায় শতাধিক কার্গো-জাহাজ ও বল্কহেড নোঙর করে অলস সময় পার করছে। ফলে এসব নৌযানের মালিকরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কতিপয় অসাধূ ব্যবসায়ী গোয়ালগাঁয় (তিন নদীর মোহনা) নদী বন্দর এলাকার বাইরে বালু-পাথর লোড-আনলোড করা এবং নৌবন্দর এলাকায় ঘাট স্থাপন না করেই বিআইডবি¬উটিএ কর্তৃক নিয়মবর্হিভূত চাঁদা আদায় করায় গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে দিনমজুর শ্রমিকরা।
এই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষনা করেছে ৫টি সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। একই বিষয়ের প্রতিবাদে সম্প্রতি শহরের পুরাতন কাষ্টমস্ রোডে ছাতক বাজার বালু ব্যবসায়ী সমিতি, নৌকা মালিক সমিতি, লাল পাথর ব্যবসায়ী সমিতিসহ ৫টি সংগঠনের উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
কিন্তু ওই সমাবেশের পরও ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের যৌত্তিক দাবীর বিষয়ে সংশি¬শুষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় নৌ-পথে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পাঁচ সমিতির ঐক্যজোটের সভাপতি মো. আব্দুস সত্তার ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জুয়েল জানান, নৌ-পথে কর্মবিরতির কারনে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এই অঞ্চলের দিনমজুর শ্রমিকরা।
দ্রুত এই জটিলতা নিরসন না হলে সকল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবী আদায় করা হবে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারী বলেন, বিষয় নিরসনের ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক হওয়ায় বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা নিরসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply