আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
দেশের পুঁজিবাজার এখনো গড়ে উঠেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে সরকারের নানামুখী সংস্কারের কারণে বাজারে ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে। এতে করে অচিরেই পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।
রোববার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে দুইবার বড় ধ্বস হয়েছে। যার ফসল হিসাবে পুঁজিবাজারে নানা সংস্কার হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান কমিশন ৮ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি তারা দক্ষতার নিদর্শন দেখিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশেও বিদ্যমান। এরই ফলশ্রুতিতে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে করে যাচ্ছে বিএসইসি।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আসাদুল ইসলাম বলেন, দ্রুত বড়লোক হওয়ার প্রবণতা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
তিনি বলেন, বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের স্বার্থে কাট-অফ প্রাইসের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে শেয়ার দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের স্বার্থে একটি কোম্পানির ৪৫ টাকার কাট-অফ প্রাইস ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট শেষে গাণিতিক হিসাবে ৪১ টাকা হলেও ৪০ টাকা করা হয় বলে উদাহরণ টানেন।
চেয়্যারম্যান বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য মিথ্যা হিসাব (ফলস অ্যাকাউন্ট) নিয়ে আসলে বিএসইসির কিছু করার থাকে না। এক্ষেত্রে নিরীক্ষক ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদেরকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা পায়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজ না করার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারদের প্রতি অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে ৫ বছর লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই এমন কোম্পানিকে পুঁজিবাজার না আনার জন্য আহ্বান করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষার প্রধান উপাদান শিক্ষা বলে জানিয়েছেন খায়রুল হোসেন। এই শিক্ষা ছাড়া কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগের সুরক্ষাও বাধাগ্রস্থ হতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগ সুরক্ষায় আইনকানুন পরিপালন, মনিটরিং জোরদার ও সঠিক রিপোর্টিংয়ের দরকার।
খায়রুল হোসেন বলেন, আইওএসকো’র সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিএসইসিও দ্বিতীয়বারের মতো ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ পালন করছে। তবে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আগে থেকেই নানা ধরনের প্রোগ্রাম শুরু করে।
আজকের স্বদেশ/আবু বকর
Leave a Reply