পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থাই নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় ওই ছাত্রী রোববার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট সকালে বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখার ফুড প্রসেসিং বিভাগের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বোদা থানা সংলগ্ন সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর প্রাইভেট সেন্টারে পড়তে যায়। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজু ওই স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে ওই শিক্ষকের হাত থেকে কোন মতে নিজেকে রক্ষা করে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। ঘটনার দিনই ওই স্কুল ছাত্রী বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুলের কাছে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগ করার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নেয় নি। এমনকি প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল ওই স্কুল ছাত্রীর অভিযোগটি রিসিভ করে নিলেও অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন। ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। সেবার তাকে কেবল মাত্র সতর্ক করে দিয়েই ছেড়ে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রী আজকের স্বদেশের প্রতিনিধিকে জানান, আব্দুর রাজ্জাক রাজু স্যার আমাকে একা পেয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেছে। আমি কোন মতে নিজেকে রক্ষা করে পালিয়ে আসি। যাদের আমরা রক্ষক ভাবি, অভিভাবক মনে করি তাদের কাছেই আমরা এখন নিরাপদ না। আমি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছুই করিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আপনারা প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন।
বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তাই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগ রিসিভ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনতো বাজারে সিল তৈরি করা যায়। কেউ হয়তো আমার সিল তৈরি করে রিসিভ করেছে।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান আজকের স্বদেশকে জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকের স্বদেশ/তুহিন
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।