আকবর রেদওয়ান মনা,কোম্পানীগঞ্জ থেকে::
সিলেট কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জ সড়ক যেন ডাকাতদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ডাকাতি হচ্ছে এ মহাসড়কে।ডাকাতরা এত বেপোরোয়া যে চলন্ত গাড়ীতে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে আহত করে যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
জানাযায় সন্ধ্যা রাত হলে এসড়ক দিয়ে যাত্রীরা আসা যাওয়া করেননা,জরুরি প্রয়োজনে রাত্রে যারা চলাচল করেন কপাল যদি ভাল থাকে তাহলে হয়ত রেহাই পাওয়া যায়, আর যদি কপাল খারাপ হয় তাহলে ডাকাতদের হাতে ধরা পড়ে সর্বস্ব খুঁইয়ে আসতে হয়।
সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়কের দূরত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার, সড়কটির অবস্থা আগ থেকে কিছুটা ভাল হলেও যেখানে ডাকাতি হয় সেই অংশে এখনও কাজের কোনো ছোয়া লাগেনি। এই অংশ রাস্তাটি খারাপ থাকার কারনে ডাকাতরা ডাকাতি করতে পারে সহজে।
উপজেলার তেলিখাল, কাটাখাল,বর্ণি ও খাগাঈল এলাকায় নীরব নির্জন থাকার কারনে ডাকাতরা এই এলাকায় অবস্থান নেয় এবং সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে । সড়কের আশপাশে জনবসতি কম থাকার কারনে ডাকাতির কাজ সম্পাদন করে হাওড় বিল অথবা জঙ্গলে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল, বর্ণি, খাগাঈল এলাকা ডাকাতদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ঘটছে ডাকাতির ঘটনা । ভাঙ্গাচোরা সড়ক থাকার কারনে সুযোগ নিচ্ছে ডাকাত দল। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় ডাকাতরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
পুলিশের তৎপরতা যদি আরো বৃদ্ধি করা হয় তাহলে ডাকাতি অনেক কমে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এজন্যই এই সড়ককে ডাকাতদের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে ডাকাতরা গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ডাকাতি শুরু করেন। এ কারনে উপজেলার লোকজন সন্ধ্যার পর ওই সড়কে চলাচলে আতংকিত থাকতে হয়।
গতরাত বুধবার রাত ১০ টার দিকে তেলিখাল সংলগ্ন এলাকায় এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় সিএনজি চালক লিটন আহমদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৩ জন পুরুষ ও একজন নারী যাত্রী নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিলেট ছাড়েন তিনি। বর্ণি গ্রাম পেরিয়ে কান্দিবাড়ি এলাকায় যাওয়ার পর দুইজন পুরুষ যাত্রী নেমে যান।
গাড়িটি তেলিখাল পেট্রোল পাম্পের কাছে আসামাত্র ১৫/২০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত তার গাড়িতে হানা দেয়।এ সময় তারা ড্রাইভারসহ তিন যাত্রীর মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ির যাত্রী তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
এ ব্যপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশিত করে জানান, সিএনজি চালক লিটন আহমদ বিষয়টি অবগত করার পর তরুণীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তবে তরুণীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply