আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন ২৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৩১ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেয়।
গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের বাধা দূর হয় আপিল বিভাগের আদেশে। তবে বিএনপি নেত্রী মুক্তি পাননি। কারণ আরও অন্তত ছয়টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।
এর মধ্যে কুমিল্লায় বাসে পেট্রল বোমা হামলা চালিয়ে আট জনকে হত্যা এবং পুলিশের ভ্যানে হামলা মামলায় ২৮ মে খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৫ সালের শুরুতে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লায় এসব নাশকতার ঘটনা ঘটে।
হাইকোর্টের আদেশের পর পর এর বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে হাইকোর্টের জামিনের আদেশ বিচারের জন্য শুভ নয় দাবি করেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার (৩০ মে) এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আর চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি পাঠান আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
নির্ধারিত দিনে আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মির্জা হোসাইন হায়দারের বেঞ্চে আজও জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আর খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে বলেন এ জে মোহাম্মদ আলী এবং খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলে খালেদা জিয়াকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই মামলাটি ছাড়াও ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে করা কুমিল্লার তিনটি মামলা ছাড়াও নড়াইলে একটি এবং ঢাকায় করা দুটি মামলায় বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের শেষের দিকে এই পরোয়ানাগুলো জারি হয়।
কিন্তু পুলিশ সেগুলো তামিল করেনি এতদিন। আর বিএনপির আইনজীবীরাও আদালতে এগুলো নিয়ে লড়াই করেননি। কিন্তু এখন এই মামলাগুলোই খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিনে আছেন খালেদা জিয়া। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে এই মামলাটির যুক্তি উপস্থাপন শেষ পর্যায়ে ছিল। তবে ৮ ফেব্রুয়ারির পর আর সেই মামলায় যুক্তি উপস্থাপন হয়নি।
আজকের স্বদেশ/তুহিন
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।