মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের দূর্লভপুর নৌকাঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৩শ ফিটের ভিতরে অবস্থিত দূর্লভপুর নৌকাঘাটটি ইজারা পেলেও্র ইজারাদার অবৈধভাবে আশে-পাশের ১৫-২০টি বালুর ঘাটে অবৈধ ভাবে যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলন করে আসছেন।
সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবর্হিভূত ভাবে প্রতিটি বাল্কহেড থেকে দূর্লভপুর নৌকাঘাটে অতিরিক্ত চাদাঁ উত্তোলন করছেন। অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করার জন্য বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার ও বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.তুহিন আলম রবিবার জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শামীম আল ইমরান বরাবরে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানাযায়, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের ৩শ ফিটের ভিতরে অবস্থিত দূর্লভপুর নৌকাঘাটটি দূর্লভপুর গ্রামের রুবেল আফিন্দী ইজারাপ্রাপ্ত হন। কিন্তু এ নৌকাঘাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে ইজারাদার শুধু দূর্লভপুরঘাট ছাড়াও আশে-পাশের সাচনাবাজার, গুলনারগাও, ফতেহপুর, নূরপুর, সর্দারপুর, নোওয়াগাও, জাল্লাবাজ, উজ্জলপুর, ছোট ঘাগটিয়া,বড় ঘাগটিয়া, গোলামীপুর, ও শাহপুরসহ এরকম ১৫-২০টি বালুর ঘাটে অবৈধ ভাবে যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলন করে আসছে।
সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবর্হিভূত ভাবে প্রতিটি বাল্কহেড থেকে দূর্লভপুর ঘাটে লোড-আনলোডে সরকারি ভাবে ৮০ থেকে ১২০ টাকার স্থলে ৫শ-৭শত টাকা হারে অবৈধ ভাবে চাদাঁ উত্তোলন করছের ইজারাদার।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এছাড়াও উক্ক রুটে ছাতক, সুনামগঞ্জ হতে বালু-পাথর ও কয়লা বোঝাই বাল্কহেড সুরমা নদীতে চলন্ত অবস্থায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ৫শ থেকে ৭শত টাকা করে চাঁদা আদায় এমনকি রক্তি নদী পথে খালী বাল্কহেড প্রবেশ করতে চাইলে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
একই নিয়মে রক্তি নদী পথে বালু-পাথর ,কয়লা বুঝাই প্রতিটি বাল্কহেড থেকে ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা করে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন এই চাঁদাবাজ চক্রটি চাঁদা আদায় করে আসছে। তারা এসব অবৈধ চাদাবাজির হাত থেকে নিস্কৃতি চান উক্ত রুটে চলাচলকারি নৌ পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে দূর্লভপুর নৌকাঘাট ইজারাদার রুবেল আফিন্দীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমি সরকারি নিয়মে টোল আদায় করি। সরকারি তালিকার বাহিরে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের অভিযোগটি সত্য নয়।
তবে রক্তি নদীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, রক্তি নদীর ভিতরে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় আমাদের টাকা দিতে হবে – এটা আমাদের প্রাপ্য বলে ওই ইজারাদার দাবি করেন।’
জামালগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.আবুল হাশেম বলেন, দূর্লভপুর নৌকা ঘাটের অবৈধ ভাবে বাল্কহেড থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শামীম আল ইমরান বলেন, ‘দূর্লভপুর নৌকাঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply