আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের প্রশস্তকরণ এবং উন্নয়ন কাজ নিয়ে এখন আর কোন জটিলতা নেই। শীঘ্রই কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু হবে। রোববার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের অনেক অংশে কোন ভাবেই দুটি বড় গাড়ি অতিক্রম করতে পারছে না। শান্তিগঞ্জ, পাগলাবাজার, জাউয়াবাজারসহ অনেক স্থান ভাঙাচোরা।
জেলার একমাত্র সড়কের বেহাল অবস্থা দূর করার জন্য ২০১৬ ইংরেজির ডিসেম্বর মাসে প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজের এই দরপত্রে অ্যানুয়েল প্রকিউরমেন্ট প্লান্টে ত্রুটি থাকায় দরপত্র স্থগিত করে পুনরায় সংশোধিত দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
২০১৭’এর জানুয়ারি মাসে আবার মার্কিন সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। অংশগ্রহণ করেন ৫ জন ঠিকাদার। সর্বনিন্ম দরদাতা হয় জয়েন্টভেঞ্চারে তমা কন্সট্রাকসন ও সজিব রঞ্জন দাস। সওজ’এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই দরপত্র বাতিল করা হয়।
সওজ’এর সিলেটের তত্ত্বাবথায় প্রকৌশলীর অফিস গত বছরের এপ্রিল মাসে তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করে। এই দরপত্র গ্রহণের আগেই এর আগের দরপত্রে সর্বনিন্ম দরদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আদালতে রীট করা হয়। আদালত এই রীটের প্রেক্ষিতে দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
সওজ’এর সিলেটের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আমিন বলেন,‘আদালত গত বৃহস্পতিবার দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। এর আগে একবার ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে পুন:দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
কিন্তু দরপত্র খোলার দিন আবার স্থগিতাদেশ হলে কার্যক্রম বন্ধ হয়। এখন ঐ দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করে দরপত্র নিয়ম অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
’ এখন বৃষ্টির মৌসুমে কাজ করা যাবে কী-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন,‘সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক দুই দিকে ৩ ফুট করে ৬ ফুট এবং বর্তমানের ১৮ ফুট মিলে ২৪ ফুট প্রশস্ত হবে। আমরা কেবল বিটুমিনের কাজ ছাড়া অন্য সকল কাজ বৃষ্টির মৌসুমেই শেষ করে নেব।’
আ.স্ব./জিএস.ফ.জু
Leave a Reply