আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবাসিক হলের নিচতলার কক্ষগুলোতে আবারো বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে। গতকাল রাতের বর্ষণে বেশ কয়েকটি হলের কক্ষে পানি প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়ে হলের নিচতলার বাসিন্দারা। হলের ভেতরের পানি নিষ্কাশন ড্রেন অগভীর, সরু ও ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। গতবছর জুনে ভারী বর্ষণে হলের কক্ষে পানি প্রবেশ করেছিল। গত এক বছরে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবারো তাদের দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হলের আবাসিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে কিছুটা ভারী বর্ষণ হয়। বৃষ্টিতে শাহজালাল হলের নিচতলার প্রতিটি কক্ষে এবং ওই হলগুলোর ডাইনিং, ক্যান্টিনেও পানি ঢুকে যায়। শহীদ শামসুল হলে বৃষ্টিতে বি এবং সি ব্লকের নিচের তলার পানি প্রবেশ করে। পানি প্রবেশ করে ছাত্রীদের আবাসিক সুলতানা রাজিয়া হলের নিচতলার কক্ষগুলোতেও। পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সংযোগ সড়ক এবং ওই হল থেকে জব্বারের মোড় ও ফসিলের মোড়ে যাওয়ার রাস্তাও।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে ৬০০ কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পে আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গঠনের জন্য অনেক কাজ বিষয় অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ফলে হলের এ ধরণের সমস্যাগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শাহজালাল হল ও শহীদ শামসুল হক হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জরাজীর্ণ দশার কারণেই হলের কক্ষে পানি ঢুকেছে। গতবছরও ভারী বর্ষণে একাধিকবার আমাদের কক্ষে পানি ঢুকেছিল। কিন্তু হল ও বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কখনোই কিছু ভাবেন না। হলগুলো থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে নদী থাকার পরও শুধু মাত্র ড্রেনের স্বল্পতার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ড্রেনগুলো গভীর ও প্রশস্তশরণসহ নতুন ড্রেন খননের দাবি জানান।
এদিকে শহীদ শামসুল হলের নিচতলার শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল রাতের বৃষ্টিতে বি এবং সি ব্লকের নিচের তলার পানি প্রবেশ করে। তবে বৃষ্টির মাত্রা আর কিছুটা বাড়লে গত বছরের মতো নিচতলার সব ব্লকে পানি প্রবেশ করবে। তাই ভারী বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকি।
হলের পানির সমস্যা বিষয়ে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. গোপাল দাস বলেন, হলটি অনেক পুরাতন এবং হলের নিচতলার ফ্লোর অনেক নিচু। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা থাকায় পানি দ্রুত বের হতে পারে না। গত কয়েকদিন থেকেই ড্রেনগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছি। নতুন ড্রেন করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রজেক্ট সেকশনকে চিঠি দিয়েছি। তাদের সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এ বিষয়ে শহীদ শামসুল হক হলের প্রভোস্ট এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর থেকে সারা দেশেই বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। সমস্যা সমাধানে আমরা প্রভোস্টরা নিজেদের সাধ্যমত চেস্টা করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও বিষয়গুলো অবহিত করা হয়েছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply