নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জ জেলায় নবীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পুর্ব বিরোধের জের ধরে শবে-বরাতে মসজিদে মিলাদ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দুই দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ও আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের খনকারিপাড়া গ্রামে দুই দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৭০জন লোক আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল চৌধুরী (৩৫), রাব্বি চৌধুরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে খনকারিপাড়া মসজিদে নামজের আগে ও পরে মিলাদ পড়াকে কেন্দ্র করে সোহান চৌধুরী ও মুকিত চৌধুরীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় ।
এসময় মুকিত চৌধুরী, সোহেল ও রিপন তারা জানায় নামাজের পরে মিলাদ হবে। এ সময় অপর পক্ষের লন্ডন প্রবাসী মৃনাল চৌধুরী ও শাহ নূর হুসেন চৌঃ সোহানের লোকজন মিলাদ নামাজের আগে হবে বলে জানায়।। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে দু”পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বাদ এশা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন লোক গুরুতর আহত হয়।
পরে এ ঘটনার সূত্রধরে আজ বুধবার দুপুরে আবারো দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, আবু বক্কর (৫০) শাহ সোহান (৩০) শেকুল (১৮) ইজাজ মিয়া (৭০) জুনেদ (১০) ইমানুর (২০) আবু ইউসুফ (৫০) রবিউল (২৫) মুহিদ (৪৫) রায়হান চৌধুরী (৩২) রাব্বি চৌধুরী, (১৮) মুহিবুর রহমান (৫২) সাহেল চৌধুরী (৪১) আব্দুল মুকিত (৪৫) মারুফ মিয়া (৫৬) জুয়েল আহমেদ (৩২) জব্বার (৭০) শাকিল (২৫) সোহাগ আহমেদ (২৫)।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থম্থমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই গ্রামের হুইপএর জামাতা যুবলীগ নেতা রাহেল চৌধুরী গং ওই গ্রামের ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গাহাঙ্গামা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
এ নিয়ে আতংকে আছেন খনকাড়িপাড়া গ্রামের সাধারণ লোকজন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আতাউর রহমান সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সংঘর্ষের ঘটনা স্থান শান্ত রয়েছে। এখনো মামলা হয় নাই।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply