সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সুনামগঞ্জের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সরোয়ার আহমদ। যার বিবিধ মামলা নম্বর ৫৩/২০১৮।
মামলা ও অভিযোগকারী সুত্রে জানা যায়, বিসিক শিল্পনগরী সুনামগঞ্জের ক্ষুদ্র,মাইক্রো ও কুটির শিল্প ফাউন্ডেশনের ঋণ তত্বাবধায়ক মোকাররম হোসেন বিগত ৫ মে ২০১৭ তারিখে মামলার বাদী সারোয়ার আহমদকে ঋণ দেয়ার নামে জামানত বাবদ নগদ ৮০ হাজার টাকা, ২টি ১০০টাকা মূল্যের অলিখিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প যা বাদীর স্বাক্ষর দেয়া ও পুবালী ব্যাংকের হিসাব নম্বর ৪৬০০৭, অলিখিত একটি চেকের পাতা নম্বর ৩১৩৮৩০৫ নিয়ে যায়।
দীর্ঘ দিন পর ঋণ না দেয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সারোয়ার আহমদ বিসিক শিল্পনগরী সুনামগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২ ও ৩নং আসামীর কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। নগদ অর্থ, চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প নেয়ার পর ঋণ না দিয়ে বাদী সরোয়ার আহমদের সাথে কথা কাটাকাটি ও উচ্চবাচ্য হলে ঋণ তত্বাবধায়ক মোকাররম হোসেনকে মারধোর করার মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মাহবুব ঘটনার সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি খারিজ করে দেন।
এমতাবস্থায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সারোয়ার আহমদ নগদ অর্থসহ যাবতীয় কাগজাত ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি বলে আবারও সময় ক্ষেপন করে এবং উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বিসিকির প্রধান কর্মকর্তা ২নং আসামী বখতিয়ার আহমদ ও ৩নং আসামী ক্যাশিয়ার মাসুদ রানার কাছে বার বার ধর্না দিয়েও চেক উদ্ধার করতে না পারায় বাধ্য হয়ে আদালতে ৯৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামী আদালতের নোটিশ অমান্য করে চেক, নগদ অর্থ ও অলিখিত স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে টালবাহানার আশ্রয় নিয়ে বাদীকে হয়রানী করছে। এ
ব্যাপারে মামলার বাদী সারোয়ার আহমদ জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা রুজু করেছি। আশা করি মাননীয় আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনসহ নগদ অর্থ, চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা করবেন।
এ ব্যাপারে উপ-ব্যবস্থাপক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, ঋণ তত্বাবধায়ক মোকাররম সর্ম্পকে কিছু নেতিবাচক দিক থাকতেই পারে। আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার থাকায় আদালতের মাধ্যমেই শেষ হবে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply