বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর স্বপ্নের সেতু কুশিয়ারা নদীর রানীগঞ্জ সেতু উদ্বোধনের পূর্বে ধসে গিয়েছিল উত্তর পাশের অ্যাপ্রোচ কিছু অংশ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। নিন্ম মানের কাজের অভিযোগের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা তদন্ত করে যান।
বৃহস্পতিবার (পহেলা ডিসেম্বর) বেলা ১টায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত উদ্বোধনের আগেই রানীগঞ্জে কুশিয়ারা সেতুর অ্যাপ্রোচে ধস এই নিউজের অভিযোগের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট জেলার টিম লিডার ও উপ-সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার, সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম সহ একদল দুদকের সদস্য তদন্ত করেন। এ সময় সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রাং, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. ছদরুল ইসলাম, রানীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান, গোলজার মিয়া সহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, সিলেট বিভাগের বৃহৎ এই সেতুটি ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়, উদ্বোধনের ঠিক আগেই সেতুটির উত্তর পাড়ের বিভিন্ন স্থানে অ্যাপ্রোচ সড়কটি ধসে যায়। কাজের সঠিক তদারকি না থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ২০১৮ সালে কুশিয়ারা নদীর ওপর রানীগঞ্জ সেতুর নির্মাণকাজ করে। সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজটি করে তমা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে গেলেও ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইনাল বিলটি উত্তোলন করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply