বিশেষ প্রতিনিধি::
ভারতে মহানবী (সা.) ও তার সহধর্মিণীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ন্যায় রানীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নবীপ্রেমিক মুসলিম জনতা।
মঙ্গলবার(১৪জুন) বিকালে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বাজারের বিভিন্ন গলি পদক্ষিণ শেষে পরিষদের সামনে এসে মিলিত হয়। আলোচনা সভায় আনন্দ সোসাইটি ক্লাবের সভাপতি মো. কাউছার মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রানীগঞ্জ বাজার সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাজী কাজী নজরুল ইসলাম নিজামী, রানীগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্বাস আলী, জগন্নাথপুর কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালী, সুনামগঞ্জের জমিয়তের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাই আল হাদী, নারিকেলতলা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা সাজ্জাদুর রহমান সহ আরো অনেকেই। এ সময় রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৫শতাদিক জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তাহন মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারত থেকে মুসলিম উৎখাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। অনতিবিলম্বে নবী (সা.) ও তার সহধর্মিণীকে নিয়ে কটূক্তিকারী কুলাঙ্গারদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। তারা মহানবী (সা.) শানে কটূক্তির প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবি তোলা হয়। সুদীর্ঘ ৭৫০ বছর মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে। এই দীর্ঘ শাসনামলে মুসলমানরা কোনো হিন্দুর ওপর জুলুম নির্যাতন করেনি। নবী (সা.) ভালোবাসায় আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। রাসূল (সা.) গোটা মাখলুখাতের জন্য রহমতস্বরূপ।
ভারতের শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা মহানবী (সা.) কে হেয় করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত এনেছে। মহানবী (সা.) কে অবমাননার জন্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অবিলম্বে পাপাচার নরকের এই কীটদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সমস্ত মুসলমান প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। প্রিয়নবী (সা.) সম্পর্কে তাদের এই কটূক্তি আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। ভারতের পণ্য বয়কট করে অর্থনৈতিকভাবে তাদের প্রতিবাদ করা আমাদের ঈমানের দাবি।
Leave a Reply