বিশেষ প্রতিনিধি::
চলমান দুর্যোগকালীন অবস্থায় ভারী বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় সিলেটের বরইকান্দি উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করা বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইন দূঘটনা এড়াতে উপকেন্দ্রটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭মে) দুপুরে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস একটি বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, জগন্নাথপুর উপজেলার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সকল গ্রাহদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, চলমান দুর্যোগকালীন অবস্থায় ভারী বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় সিলেট থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের বরইকান্দি উপকেন্দ্রের আঙিনায় (সুইচ ইয়ার্ড) ও সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুম সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে উক্ত উপকেন্দ্রটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উক্ত উপকেন্দ্রের আওতাধীন সকল এলাকা (দক্ষিণ সুরমা, লালাবাজার, কদমতলী, চন্ডীপুল, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, পাসপোর্ট অফিস সহ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের একমাত্র আগমনী ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনটিও বন্ধ থাকবে। অত্র উপজেলায়ও বিউবো’র আওতাধীন সকল ১১ কেভি ও ০.৪ কেভি লাইনসমূহ বন্ধ থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বরইকান্দি উপকেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যেই পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে উপকেন্দ্রটি সুরমা নদীর অত্যন্ত নিকটবর্তী হওয়ায় ভারী বর্ষণে ও ঢলের পানি উপকেন্দ্রটির আঙিনায় পুনারায় প্রবেশ করছে। এমতাবস্থায় সকল গ্রাহককে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। রাত্রী কালীন সময়ের জন্য মোমবাতি, টর্চ, চার্জ লাইট হাতের নাগালে রাখার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
জগন্নাথপুর উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের উপপ্রকৌশলী মো. পাবেল আহমদ জানান, সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের উপকেন্দ্রের আঙিনা (সুইচ ইয়ার্ড) ও সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুম সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহককে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। রাত্রী কালীন সময়ের জন্য মোমবাতি, টর্চ, চার্জ লাইট হাতের নাগালে রাখার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।
Leave a Reply