মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া,জামালগঞ্জ প্রতিনিধি-::
গত ৩০শে জুন থেকে শুরু করে ৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত নৌকা যোগে সুরমা নদীর পাড় ও হাওড়ের নিম্নাঞ্চলের বন্যাদূর্গত অসহায় পরিবারের মাঝে জামালগঞ্জ উপজেলা বহুমুখী জনকল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় ৪শত অসহায় পরিবারে শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া-গুড় বিতরণ করা হয়।
বন্যার্ত মানুষের করুণ অবস্থা দেখতে ও ত্রাণ বিতরণ করতে ট্রাস্ট ৪টি টিম তৈরীর মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১ম টিমে ছিলেন উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, সদস্য মাওলানা রায়হান বিন আরিফ, ক্বারী বাহা উদ্দিন, নোয়াগাও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান, হাফিজ আল জাবের, রাঙ্গা প্রভাতের সদস্য মাসুম আহমদ, শেরন মিয়া।
২য় টিমে ছিলেন উপদেষ্টা হাফিজ আজির উদ্দিন, শফিক আহমদ, হাফিজ আল জাবের, হাফিজ মুবাশ্বির আলী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা নাহিদুল ইসলাম, হাফিজ জাহাঙ্গীর আলম, কারী আবু সুফিয়ান নূরী। ৩য় টিমে ছিলেন উপদেষ্টা হাফিজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, শফিক আহমদ, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ, খোকন হাসান, মওদুদ আহমদ, হাফিজ আল জাবের, মাওলানা জাকওয়ান আহমদ, হাম্মাদ আহমদ, কারী আবু সুফিয়ান নূরী, মাওলানা হুসাইন আহমদ, জিল্লুর রহমান।
৪র্থ টিমে ছিলেন মাওলানা ইসহাক আহমদ, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, রায়হান আহমদ, কারী আবু সুফিয়ান নূরী, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ট্রাস্টের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মু. রশীদ আহমদ। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারী গণ বলেন, আমরা ট্রাস্টের নাম দিয়েছি জনকল্যাণ ট্রাস্ট আপনাদের দোয়া চাই যাতে সব সময়ই জনকল্যাণে আমরা কাজ করতে পারি।
এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণই আমাদের শেষ নয়, বরং এর দ্বারা আমাদের কার্যক্রম শুরু। আমরা মানুষের কল্যাণে সবসময় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। কষ্টের সময় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই আমাদের এ কষ্টের সার্থকতা হয়েছে বলে মনে করবো। সাথে অন্যান্য সংগঠন ও এলাকার সুশীল সমাজের এগিয়ে আসতে আমাদের অনুরোধ রহিল। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় মানুষের নাজুক অবস্থা দেখে সত্যিকার মানুষ হলে চোখে পানি আসার কথা। আসুন করোনা ভাইরাস চলাকালীন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই।
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply