নিজস্ব প্রতিবেদক::
ফেসবুকে হাজী এখলাছুর রহমান নামে একটি ফেইক আইডি থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইছরাক আলী সহ তাঁর পরিবারের সদস্য নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১০ জুন বিকেল ৫টার দিকে হাজী এখলাছুর রহমান নামে ফেইক একটি আইডিতে ইছরাক আলী মেম্বার ও তাঁর পরিবারের ছবি সহ পোস্ট করা হয়। এ নিয়ে শুরু তোলপাড়। আর বুঝে, না বুঝে মিথ্যা অপপ্রচারের পোস্টটি লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি ছড়িয়ে দেন চারিদিকে।
বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে আইনের আশ্রয় নেন ইছরাক আলী মেম্বার। বর্তমান মেম্বারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা অপপ্রচারের বিষয়টি রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যাগণের দৃষ্টিগোচর হয়। তারা বৈঠকে বসে এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গুজব প্রচারকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এই ব্যাপারে ইছরাক আলী মেম্বার বলেন, আমি ৩বারের ইউপি সদস্য দীর্ঘ দিন ধরে অত্র ওয়ার্ডের কাজ করে যাচ্ছি। ওয়ার্ডের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্য কাজ করি। তবুও আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রীমহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিথ্যা-বানোয়াট গুজব ছড়িয়েছে।
আমি রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের গভনিং বডির সভাপতি, গন্ধর্ব্বপুর মাঝপাড়া জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার, গত সময়ে প্যানেল চেয়ার, বর্তমান সময়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ২, আমার এক ছেলে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লেখা পড়া করছে। আমার সফলতা দেখে সহ্য না করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, ইছরাক আলী ৩ বারের মেম্বার। তিনি দক্ষতার সাথে ৫ নং ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি দেখেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা মেম্বার সহ মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অপপ্রচার করছে। আমি এই অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই অপপ্রচারকারীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আজকের স্বদেশ/তালুকদার
Leave a Reply