বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন,‘সুনামগঞ্জ জেলায় কৃষির বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি। তাই কৃষিকে প্রধান্য দিতে হবে। হাওরের বাঁধ স্থায়ী করা যাবে না। নিরাপদে পাকা ধান ঘরে তোলা এবং হাওরে মাছের বংশ বিস্তারের সুযোগ রাখা হবে। হাওরে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নদীপাড়ের, খাল ও বিলের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে সারা জেলায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।’
তিনি বলেন,‘চলতি নদী, হাওর-বিলে গত বছর থেকে খনন কাজ হয়েছে। এবারও চলছে। সঠিক খনন কাজের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বুধবার সকাল ১১টায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে রিকল প্রকল্পের এসডিজি অর্জনে কমিউনিটি পর্যায়ে সরকারী পরিষেবার কার্যকারিতায় মানসম্মত কৃষি সেবা বিষয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্যানক্রেড ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং অক্সফাম ও সিপিডি’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজিআরা বেগম শাস্মী, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সহিদুর রহমান, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুনুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরা’র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। গণশুনানির শুরুতেই প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিকল ২০২১ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. বাবুল হোসেন।
এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর পরিচালনায় গণশুনানির মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন স্যানক্রেড ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী সত্যেন্দ্রনাথ মিত্র, সুজন’র নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেটের দৈনিক শুভ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আকরাম উদ্দিন, পদ্মার নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান, সূর্য্যরে হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার পান্না দে, সাংবাদিক কেজি মানব, শাহজাহান চৌধুরী, শহীদ নুর আহমদ প্রমুখ।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply