ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকের সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে গৃহহীন হতদরিদ্র এক মহিলার বসতঘর নির্মাণ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এমরান আহমদ নামের এক যুবক।
নিজের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের থেকে কাট, বাঁশ, টিন, নগদ টাকাসহ বসতঘর নির্মাণের বিভিন্ন সামগ্রী সাহায্য এনে প্রায় ৭০হাজার টাকা ব্যয়ে জোসনা বেগম নামের মহিলার বসতঘর নির্মাণ করেন তিনি। এমরান আহমদ সিংচাপইড় গ্রামের মরহুম আফিজ আলীর পুত্র।
জানা যায়, উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের রাউলী গ্রামের মৃত সুরুজ আলী কন্যা জোসনা বেগম প্রায় একযুগ পূর্বে স্বামীর সাথে বনিবনা হয়নি বলে ৩কন্যা সন্তান নিয়ে স্বামী ছেড়ে চলে আসেন। এরপর আশ্রয় নেন তার ভগ্নিপতি সিংচাপইড় গ্রামের মৃত হবিব উল্লাহর পুত্র ইছিম আলীর বাড়ীতে। শুরু হয় তিন সন্তান নিয়ে তার জীবনযুদ্ধ। ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন মালমাল বিক্রি করে চলে অভাবের সংসার। খেয়ে না খেয়ে কিছু পয়সা জমিয়ে খরিদ করেন ৭ শতক জমি। খেটেখুটে ভিটের জন্য জায়গা খরিদ করলেও হয়ে উঠছিল না নিজের বসতঘর। জোসনা বেগমের বয়স এখন প্রায় ৫০ বছর।
সম্প্রতি তার কষ্টের কথা শুনে এগিয়ে আসেন এমরান আহমদ। তিনি নিজের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে এ নিয়ে কথা বলে তাদের থেকে কিছু আর্থিক অনুদান এনে বসতঘর নিমার্ণের কাজ শুরু করেন।
এরপর বসতঘর নির্মাণের জন্য সাহায্য চেয়ে প্রয়োজনীয় কাট, বাঁশ, টিনসহ বাকি সামগ্রী এনে এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষও করেন তিনি। জোসনা বেগম নিজের নতুন বসতঘর পেয়ে এখন অত্যন্ত খুশি। সন্তানদের নিয়ে প্রায় একযুগ পর ঠাঁই হয়েছে নিজের বসতঘরে।
এ ব্যাপারে এমরান আহমদ জানান, জোসনা বেগমের বসতঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহনের পর অনেকেই তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। এদের মধ্যে তার আত্মীয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাছিত সেলুর থেকে ৩০হাজার ৩শ’ টাকা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী বাখর আলীর থেকে ৫হাজার টাকা সাহায্য নিয়ে জোসনা বেগমের ঘর নিমার্ণের কাজ শুরু করেন।
এছাড়া আব্দুল মতিন, আব্দুর রজাক, ব্যবসায়ি সাজুর আহমদ, লিমন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, রুহুল আমিনসহ অনেকেই তাকে এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ান। এ ধরণের সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করায় এমরান আহমদ সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply