আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় কুয়েতের জেলিব আল সুখেক একালায় বিভিন্ন কোম্পানির ব্যারাক। বেশিরভাগ বাংলাদেশিরা এখানে থাকেন কুয়েতের মধ্যে হাসাবিয়া মানে সবার কাছে পরিচিত।
কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যেসব স্থানের বাংলাদেশি বেশি বসবাস করেন সেসব স্থানে মসজিদগুলোতে দুই ঈদ ও জুমার নামাজে বাংলা খুতবা পড়ার অনুমোদন দিয়ে থাকেন।
কুয়েতের বাংলাদেশি মুসল্লিদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাসাবিয়া বড় মসজিদে।
বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হওয়াতে শুক্রবার কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিচিত বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষৎ করতে হাসাবিয়া ছুটে আসেন।
ফলে জুমার নামাজে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বিপুল লোক সমাগম হওয়ায় আশপাশের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয় এই মসজিদে বাংলা খুতবার পাঠ করা অনুমোদন বাতিল করে দেয়।
দীর্ঘ ২২ মাস বন্ধ থাকার পর আজ ৫ জুলাই পুনরায় বাংলা খুতবা চালু হয়। এ মসজিদসহ বর্তমানে কুয়েতে ১৯টি মসজিদের বাংলা খুতবার অনুমোদন দিয়েছে কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিদেশের মাটিতে নিজ মাতৃভাষায় বাংলা খুতবা পুনারায় চালুর অনুমোদন দেয়ায় কুয়েত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার খুতবায় তাওহীদের গুরুত্ব পরিচয় ও তাৎপর্য (অনুগ্রহ, সহানুভূতি) সর্ম্পকে আলোচনা করেন মাওলানা আবদুর রব সরদার।
২২ মাস পর পুনরায় বাংলা খুতবা চালু হওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন প্রবাসী বাঙালিরা। বাংলা খুতবা যাতে আর বন্ধ না হয় চালু থাকে সেজন্য সবার আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply