রুম্মান আহমদ/ সুজন আহমদ::
বর্তমান বিশ্বে অনলাইন নিউজ পোর্টাল থাকার পরও খবরা খবর জানার জন্য সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চায়ের সাথে সংবাদ পাঠ করতে না পারলেই যেন জানা হলো না কোন কিছু।
এই সংবাদপত্র ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে রোদের খরা তাপে পুড়ে প্রত্যহ ঘরের কোণে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, গাড়িতে পৌঁছে দেয় হকাররা। এরা প্রতিদিন পেপার এজেন্ট থেকে সংবাদপত্র সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় পাঠকদের নিকট সংবাদপত্র পৌঁছে দেয়। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সংবাদপত্র বিক্রেতা সমিতির সভাপতি নিকেশ বৈদ্য তিনি পৌর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় সংবাদপত্র দিয়ে থাকেন।
তিনি কোন সময় পায়ে হেঁটে এবং গাড়ীতে করে করে সংবাদপত্র পৌঁছে দেয়। অঝোর ধারা বৃষ্টি,গা পোড়া রোদের তাপে তার নেই দায়িত্বের অবহেলা। নিত্যদিনের সমগ্র খবরের বোঝা মাথায় নিয়ে সংবাদ পাঠক পাঠিকাদের সেবা করে যাচ্ছেন।
হকারদের অনেকের আয় কমিশন ভিত্তিক, অনেকের আয় মাসিক বেতনে। হকারদের আয় যেভাবে হোক না কেন তা প্রয়োজন মতো নয়। সকাল থেকে সংবাদপত্রে গাড়ির অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় তাদের। কোন কারণে গাড়ি আসতে দেরি হলে তাদের অস্থিরতার সীমা থাকে না।
আজকের স্বদেশ এর সাথে একান্ত আলাপে হকার নিকেশ বৈদ্য বলেন, আমাদের দুঃখ কে বুঝে। সারাদিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মানুষের নিকট পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে যা অর্থ পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। তবুও এ পেশাকে ভালবেসে আগলে আছি।
তিনি আরো বলেন, যতই কষ্ট হোক যথাসময় সংবাদপত্র পৌঁছে দিতে পারলে আমাদের আনন্দ।জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পত্রিকা মালিকদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। পত্রিকা মালিকরা যদি এগিয়ে আসতো তাহলে এ পেশায় জড়িত আমার মত হকাররা কিছুটা হলেও উৎসাহী হতো।পত্রিকার মালিক সহ সকলকে সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply