নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা লয়লুছ মিয়া জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় নয়, এক মুঠো ময়দা, একটুখানি চিনি, সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি একটা ‘পাটিসাপটা’ বদলে দিচ্ছে লয়লুছ মিয়ার ভাগ্য।
জানা যায়, ভাগ্য বদলের সংগ্রামের লয়লুছ মিয়া চলে যান ইরাকে সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেন বিভিন্ন যায়গা। তিনি যে উপার্জন করতেন, তা দিয়ে সংসার সামলানো হিমশিম খেতে হতো তাকে। তবে এই সাফল্যের পথটা মসৃণ ছিল না। ছিল কষ্টের, সংগ্রামের।
তিনি বিদেশ গিয়ে হোটেলে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করার সুবাধে খাওয়ার আইডেম বানানো শিখে ফেলেন। সেখান থেকে মনে মনে কল্পনা করেন দেশে এসে কোন কিছু করবেন। কিন্তু বর্তমান সময় উপযোগী পার্টনার না পাওয়ায় নিজের বাড়ীতে শুরু করেন কাজ।
শুরু করেন নিজের হাতে বানানো পাটিসাপটা। বিক্রি করতে থাকেন রানীগঞ্জ বাজার ও জগন্নাথপুর বাজারের নামকরা বিভিন্ন দোকানে সুনাম অর্জন শুরু হয় তার কাজের।
এখন তার বাড়ীর নাম রাখেন সুইট হাউজ/মিষ্টির বাড়ী কেননা তার হাতে বানানো বিভিন্ন মিষ্টির খাবার মিষ্টি জগতে নিয়ে যেতে জনগনকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
আজকের স্বদেশ ডটকমের সাথে একান্ত সাংক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ইরাক থাকাকালিন সময়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তা যদি আমার জন্মভূমিতে থেকে কাজ করতে পারি তা হলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
আমার টেষ্টা ইচ্ছা দেশে থেকে নিজের তৈরী করা বিভিন্ন খাবারের আইডেম বানিয়ে বিক্রি করে সংসারের গতি ঠিক রাখা। পাশাপাশি মানুষদের এটাও বুজানো যে জগন্নাথপুরের মানুষ শুধু বিদেশ যেতে চায়না দেশে থেকেও কাজ করলে বিদেশের স্বাদ গ্রহন করতে চায়। তিনি আরো বলেন সফলতা অর্জনের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে।
বর্তমান সময়ে যে দোকানেই পাটিসাপটা দেই, পরদিন সেখানে পাটিসাপটা নিয়ে গেলেই দোকানিরা প্রশংসা করে বলেন, ‘ভাইয়া, আপনের পাটিসাপটা খাইয়া খুব প্রশংসা কাষ্টমার।’ সবার প্রশংসা শুনে উজ্জীবিত হলাম। খুব ভালো লাগছে। এভাবে ছোট পরিসরে সবার সাথে থাকতে চাই। আমার বানানো আর অনেক আইটেম রয়েছে যাহা ধারাবাহিকভাবে বাজারের আসবে। সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply