স্বদেশ ডেস্ক::
জেল থেকে বের হয়েই ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে সাবেক জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে জামাইসহ তিনজনকে আহত করলেন শ্বশুর।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী জামাই নোমানসহ তার বাবা আব্দুল খালেক খলিফা ও মা রেনু বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে শ্বশুর নাচনাপাড়ার পান্না মেম্বার।আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন ওই গ্রামের মো. সেলিম ওরফে সেলিম হুজুর, আল আমিন ও কালু।
আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোরে তারা বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর ৬টার দিকে হঠাত পান্না মেম্বার তার ছেলে আসফি, সাকিল, পান্নার স্ত্রী পারুল ও তার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন লোক কুঠার, রামদা. সাবল, জিআই পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমার বাবা-মা ও আমাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এর আগে ৭ এপ্রিল আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে ওই মামলায় পান্না মেম্বর জেলে যায়। পরে পান্না জেলহাজতে থাকাকালীন ২৪ মে শুক্রবার আমার মাকে আমার সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি মা রেনু বেগমকে ইট দিয়ে আঘাত করে মাথা থেতলে দেয়। ২৮ মে জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় আমাদের ওপরে এ হামলা চালায় সে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কানিজ ফাতিমা জানান, আহত খালেক, রেনু বেগম ও তাদের ছেলে নোমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পান্না মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে মোবাইলফোনে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, আমার মেয়ে লায়লা তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য যেতে চাইলে আমরা তাকে ঘরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য সেখানে যাই এবং আমার ৬ থেকে ৭জন লোক নোমানের বাড়ির সামনে ছিল তবে কাউকে মারধর করেনি।
পাথরঘাটা থানা ওসি হানিফ শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল আহসানসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply