ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশই বৃদ্ধি করে চলছে।
উপজেলার সবক’টি হাটবাজারে রমজান আসতে না আসতেই দ্রব্যমূল্য চরম আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যে এখন রীতিমতো আগুন। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নি¤œ ও মধ্য আয়ের সাধারণ মানুষ। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেনো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
শহরের বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির চিত্র। কয়েক দিনের ঝড়বৃষ্টির কারণে এমনটাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, রোজার অজুহাতে অনেক বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, কৃত্রিম সংকটের কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এ কারণে তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, ছোলা, দুধ, বেসন, কাঁচামরিচ, টমেটো, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সরবরাহ বেশি থাকা সত্ত্বেও বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। রমজানের প্রয়োজনীয় অন্যতম পণ্য হচ্ছে ছোলা ও খেজুর। বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭২ টাকা। সাধারণ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৪০ টাকা। দেশি মসুর (বড়) ডাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫৫ টাকা। বাদ পড়েনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য লবণও। প্রতি কেজি ৪ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, সবজি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতি কেজি ৪০ টাকার কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ১৫ টাকা কেজির বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, ২০ টাকা কেজি শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং টমেটো প্রতি কেজি ৫ টাকা, বেসন ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মুরগি, গরু ও ছাগলের মাংসের দামও ওঠানামা করছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় এগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি।
এনজিওতে কর্মরত এক ক্রেতা বলেন, রমজান উপলক্ষে সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে বেগুন, শসা, কাঁচামরিচের দাম। একই কথা বলেন দিনমজুর রফিক মিয়া, জামাল মিয়াসহ আরও কয়েকজন। তাদের মতে, রমজান মাসে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটর করে দ্রব্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
সুনামগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাইজ উল্লাহ বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যেও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রমজানে মনিটরিং শুরু হয়েছে। শিগগির স্থানীয় হাটবাজারেও অভিযান পরিচালিত হবে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply