শেখ সাহেদ মিয়াঃ
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি , স্লিপ জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ,যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে
অভিযুক্ত মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২২ নং মনুমুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিতি দাশের বিরুদ্ধে ২১ দিনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি উপজেলা শিক্ষা অফিস ৷
জানা যায় , গত ১৭ ই এপ্রিল তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে ২২নং মনুমুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি,
ভুয়া স্লিপের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ,যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, ছুটির পুর্বেই বিদ্যালয় ত্যাগ করা সহ বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
কিন্তু অভিযোগ দায়ের ২১ দিন পার হয়ে গেলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয় না অথচ এসব সভায় বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় যুক্ত করে রেজুলেশন তৈরী করে প্রধান শিক্ষিকা আমার স্বাক্ষর নকল করে জালিয়াতির মাধ্যমে তা পাশ করায় ৷
গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের ৩৫০০০/(পয়ত্রিশ হাজার) টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের ৩৫০০০/-( পয়ত্রিশ হাজার)টাকা ,২০১৫-১৬ অর্থ বছরের স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের ৪৫০০০/(পয়তাল্লিশ হাজার),২০১৬-১৭ অর্থ বছরের স্লিপ ,
প্রাক- প্রাথমিক ও রুটিন মেইনটেনেস্নের ৫৪০০০/( চুয়ান্ন হাজার),২০১৭-১৮ অর্থ বছরের স্লিপ প্রাক-প্রাথমিকের ৪৫০০০/(পয়তাল্লিশ হাজার) সর্বমোট ২১৪০০০/ (দুই লক্ষ চৌদ্দ হাজা) টাকার সিংহভাগ অংশ ভুয়া ও বায়বীয় ভাউচার এর মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে ৷ একই সরঞ্জাম প্রতি বছর তৈরী ও ক্রয় দেখানো ,
পন্যে কম ক্রয় করে বেশি ক্রয় দেখানো,পন্যের দামে জালিয়াতি,না কিনে তার টাকা আত্মসাৎ এর মত ঘৃণ্য কাজ করেন তিনি ৷
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন শিটে আমার স্বাক্ষর করার নিয়ম থাকলেও আমার থেকে স্বাক্ষর না নিয়ে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বেতন উত্তোলন করেন ৷ এছাড়াও তিনি যথা সময়ে বিদ্যালয়ে আসেন না ,
সময়ের আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন যা ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মানের উপর প্রভাব ফেলছে ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ৷
এ ব্যাপারে বারবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি নিজেকে শুধরান নি ৷ তাই লিখিতভাবে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি ৷তবে অভিযোগ দায়ের ২১ দিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমি হতাশ হয়েছি ৷
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ.টি.ই .ও রাজিব জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে ৷ এখন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল খোলার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply