জামালগঞ্জ প্রতিনিধি::
জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের খুঁজারগাঁও গ্রামে দূর্গা মন্দির উন্নয়নের নামে সরকারের কাবিখা কর্মসূচির বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রকল্পের কথিত সভাপতি, সেক্রেটারির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে আজ ৩১মার্চ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব তালুকদার।
অভিযোগে বলা হয়, খুঁজারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও আমানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর সমাজপতি সভাপতি হয়ে এবং একই গ্রামের সুভাষ তালুকদার সেক্রেটারী হয়ে খুঁজারগাঁও উত্তর বাড়ি দূর্গা মন্দির উন্নয়নের নামে মন্দির পরিচালনা কমিটির অজ্ঞাতে কাবিখা কর্মসূচির ১৪ মে:টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ পান।
সম্প্রতি আংশিক বরাদ্দ তারা উত্তোলন করলে বরাদ্দের লুক্কায়িত বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এব্যাপারে প্রকল্পের উল্লেখিত সভাপতি ও সেক্রেটারি কাছে দূর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বরাদ্দ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বরাদ্দ প্রাপ্তির কথা অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে কমিটির সদস্যরা জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেও কোন সুরাহা পাননি।
এক পর্যায়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, কথিত প্রকল্পের সভাপতি শংকর সমাজপতি ও সেক্টেটারি সুভাষ তালুকদার উভয়ে মিলে ১৪মে:টন বরাদ্দ থেকে সাড়ে ৩ মে:টন বরাদ্দ আরো আগেই উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।
কিন্তু উল্লেখিত মন্দির উন্নয়নের কোথাও তা ব্যয় করেন নি। বর্তমানে অবশিষ্ট বরাদ্দ উত্তোলনের পায়তারা করছেন।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগকারী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব তালুকদার বলেন, এটি প্রায় শত বছরের পুরনো একটি দূর্গা মন্দির। আমরা যারা এই দূর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটিতে আছি কেউই বরাদ্দের ব্যাপারে জানতাম না।
বিশ্বস্ত সূত্রে এই খবর জানার পর জামালগঞ্জ ইউএনও মহোদয়কে জানালেও কোন সুরাহা পাইনি। ইতোমধ্যে বরাদ্দের এক চতুর্থাংশ তারা সংগোপনে উত্তোলন করত: আত্মসাৎ করে বাকি বরাদ্দ আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
অপর দিকে ফেনারবাঁক ইউনিয়নেরই গঙ্গাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু বাবুর বাড়ির দূর্গা মন্দির উন্নয়নের নামে বরাদ্দকৃত এরকম আরো ১৪ মে:টন বরাদ্দ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply