সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর কাচিরগাতি সড়কের রণবিদ্যা বেইলি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় র্দুভোগে পড়েছেন শতশত যাত্রী ও চালক। বিকল্প সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করলেও বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সড়ক বিভাগ বলছে তারা বেইলি সেতুর মালামাল সংগ্রহ করনের কাজ করছে। দ্রুত নুতন বেইলি সেতু নির্মাণ করা হবে। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর কাচিরগাতি সড়কের অতিরিক্ত পন্য বোঝাই ট্রাক সড়ক ও জনপথের সতর্র্কী করণ বার্তা উপেক্ষা করে রণবিদ্যা বেইলি সেতু পাড় হওয়ার সময় সেতু ভেঙ্গে গিয়ে ট্রাক খালে পড়ে দুজনের মারা যায়।
সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর,বারেকটিলা, যাদুকাটা নদীসহ বড়ছড়া, চারাগাও বাগলী কলাগাও এলাকার শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়েন। সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় সীমান্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে র্দুভোগে পড়েন এসব এলাকার হাজারহাজার মানুষ ও যাত্রী।
অন্যদিকে সেতুর দুপাশে দূরবর্র্তী এলাকায় তরমুজসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে ১০ টি আন্ত: জেলা ট্রাক। পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল আলম বলেন, সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদেও পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের খুব সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি পাওয়া যায় না বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে সময় বেশি লাগছে।
ব্যবসায়ী মোঃ চান মিয়া বলেন, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা এসড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহন করে থাকেন। সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের মালামাল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি ছমরু মিয়া বলেন, এসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত পর্যটক তাহিরপুরের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে যাতায়াত করেন। সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় তারাও বিপাকে পড়েছেন।
সরাসরি তাহিরপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকটিলা,যাদুকাটা নদীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যেতে পারছেন না। তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া এলাকার কয়লা আমদানি কারক রুকন মিয়া বলেন, কয়লা আমদানির কাজে তারা বড়ছড়া, চারাগাও, বাগলী, কলাগাও এলাকায় যেতে হয় এসড়ক দিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা সরাসরি শুল্ক স্টেশন গুলোতে যেতে পারছেন না।
নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মনতলা গ্রামের ইব্রাহীম মিয়া বলে, এ সড়কদিয়ে কলমাকান্দা ও নেত্রকোণা জেলায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। তারাও এখন অসুবিধায় পড়েছেন। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিয় চক্রবর্তী বলেন, সেতুটি ব্যস্ততম একটি সড়কের উপর অবস্থিত।
হঠাৎ করে এটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। তবে নুতন বেইলি সেতু নির্মাণের জন্য মালামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করার পরপর সেতুর কাজ শুরু হবে। বিকল্প ভাবে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করছি।
আগামী আমরা ৭দিনের ভেতর নুতন সেতু নির্মাণ করতে পারবো। বিশ্বম্ভরপুর কাচিরগাতি সড়কের রণবিদ্যা বেইলি সেতুটি ৯০ ফুট দীর্ঘ ছিলো। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত পন্য বোঝাই ট্রাক সেতু পাড় হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙ্গে যায়।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply