পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভনে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণি স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের ডোলোপাড়া এলাকায়। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে।আজ বুধবার বিকেলে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকসহ দুইজনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেন।
আসামীরা হলেন জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের অমরখানা এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম (২৮) ও একই এলাকার মাজম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (১৯)।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর সাথে শালডাঙ্গা এলাকার আনারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত সোমবার (১৮ জুন) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে তার বাড়ির পাশ থেকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় আনারুল ও তার সহযোগী সফিকুল।
গভীর রাতে আনারুল ওই স্কুল ছাত্রীকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর পাশে তুলসী শাহের মাজার এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । পরে আনারুল বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে কাপড় ও টাকা নিয়ে আসার নাম করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর কান্নাকাটি শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আনারুল ও তার সহযোগী সফিকুলকে আসামী করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি (অপারেশন) রঞ্জু আহম্মেদ জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে ধর্ষকসহ দুইজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম সারোয়ার, বার্তা সম্পাদক জুয়েল আহমদ।
ই-মেইল: ajkershodesh@gmail.com
প্রধান কার্যালয়: ব্যাংক প্লাজা, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।