সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে বালিপাথর শ্রমিকদের হাওরে ধানকাটতে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করন ও মতবিনিময় করেছে পুলিশ প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল ৯ টা থেকে ১১ টায় পর্যন্ত সদর উপজেলার সুরমা ও চলতি নদীর তীরবর্তী এলাকায় পুলিশের দুটি দল মতবিনিময় করে।
সুনামগঞ্জের পুলিম সুপার মোঃ বরকতুল্লাহর নির্দেশে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত এ কর্মসুচি চালিয়ে যাবে জেলা পুলিশ। সুনামগঞ্জের হাওরের ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক পাকা জমি কাটতে পারছেন না কৃষক। এটি মোকাবেলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সুনামগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার চলতি নদীতে বালি পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের কিছুদিন বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে হাওরের পাকা ধান কাটার জন্য আহ্বান জানান।
আজ সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত স্পীডবোট চড়ে চলতি নদীর তীরবর্তী সাহেববাড়িঘাট,অলিরবাজার ওয়েজখালী, অক্ষয়নগরসহ বেশ কিছু এলাকায় পুলিশ শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে হাওরের ধান কাটার আহ্বান জানায়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অপারেশন আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যদের জেলা পুলিশের একটি দল হাওরে ধান কাটার জন্য বালিপাথর শ্রমিকদের সঙ্গে প্রচারনা ও মতবিনিময় করেন।
এসময় নদীতে বালিপাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা হাওরে ধান কাটতে যাওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। চলতি নদীর ধোপাজান বালি মহালে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১০ হাজার শ্রমিক বালিপাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অপারেশন আতিকুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ নির্দেশে আগামী ১৫ দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বালি পাথর শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা পুলিশ মতবিনিময় উদ্বুদ্ধ করণ কর্মসুচি পালন করবে। এজন্য তিনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। মতবিনিময় কালে সুনামগঞ্জ সদর থানা ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জের ছোটবড়ো দুইশতাধিক হাওরে এবছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত ৭৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা হয়েছে বলে জানায় কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আজকের স্বদেশ/জিএস/জুয়েল
Leave a Reply