আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
মোবাইল ফোনে ২০ টাকার রিচার্জের পরিচয়। অবশেষে খুলনার কলেজ ছাত্রী মুন্নীর সাথে প্রেম। দীর্ঘ ৪ বছরের প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে সর্বশেষ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খুইয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুরের বকুল।
প্রতারণার শিকার বকুলের বর্ণনায় জানা যায়, শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের পাচঁদেওলী গ্রামের মৃত আবির হোসেনের ছেলে মোঃ ফিরোজ হোসেন বকুলের সাথে খুলনা’র ডুমুরিয়া উপজেলার আড়শনগর গ্রামের হামিদুল ওরফে আব্দুল হামিদ সরদারের এলাকায় একটি কলেজে পড়া অবস্থায় প্রায় ৪ বছর পূর্বে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
এরপর থেকেই মুন্নী বকুলকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার লেখাপড়া চালানোর অনুরোধ করে এবং লেখাপড়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি তার গরীব পরিবারের ভরণ পোশনের দায়ভারও চাপিয়ে দেয় বকুলের উপর। প্রেমিকার সুন্দর বচনভঙ্গী ও আকুতি বিনয়ে আকৃষ্ট হয়ে এবং নিজে অশিক্ষিত হলেও ভবিষ্যত বৌ শিক্ষিত হবে মর্মে সেই আনন্দে মুন্নীর লেখাপড়ার জন্য বকুল নিজে খুলনায় গিয়ে খুলনা সিটি পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দিয়ে আসেন। এরপর খরচ বাবদ মাসে ১৫-২০ হাজার করে টাকা পাঠাতে থাকেন। এভাবে ৪ বছর যাবত তা চালিয়ে যান। সেই সাথে মুন্নীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চাল-ডাল কেনা সহ নগদ অর্থও পাঠানোর পাশাপাশি প্রতি বছর কোরবানীর ঈদে নিজের পরিবারের মতো তার পরিবারেও কাপড় চোপড় ও কোরবানীর জন্য টাকাও পাঠাতেন।
বকুল মিয়া আরো জানান, মুন্নী বকুলের কথামতো প্রায় ২ বছর আগের তার সেই শেরপুরের প্রফেসর পাড়া বাসায় আসে এবং সেখানে তাকে নিয়ে ২ দিন একসাথে অবস্থান করেন।
এদিকে ঈদ পালনের জন্য মুন্নীকে ৭ভরি ওজনের সোনার গহনা ও ১২ ভরি ওজনের রূপার অলংকারও কিনে দেয় ববুল, শুধু তাই নয় মুন্নী খাতুনে মা রানজিদা বেগমকে ২ ভরি, তার খালাকে ২ভরি ওজনের সোনার গহনা বানিয়েও দেয় একই সাথে।
তাছাড়া মুন্নীর ভাই মিলন হোসেন একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি থ্রিজি মোবাইল সেট কিনে দেয়ার পাশাপাশি মুন্নীর লেখাপড়ার কাজে কম্পিউটার কিনে দেয়ার দাবীও করেছেন বকুল। মুন্নীর ৪ বছর মেয়াদী পলিটেকনিকে লেখাপড়ার মাসিক খরচ, পোষাক পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র, সোনা-রূপার গহনা, নগদ অর্থ মিলে প্রায় ২৪/২৫ লাখ টাকা ব্যয় করার কথা জানান বকুল।
এদিকে মুন্নী পলিটেকনিকে লেখাপড়া শেষ করে বকুলকে তার বাড়ীতে যেতে বলে, এবং বকুল মুন্নীর বাসায় গিয়ে রাত্রি যাপন শেষে মুন্নীকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে খুলনা জজ আদালতের লোটারী পাবলিকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে তাকে সাথে নিয়ে বকুল বগুড়ার শেরপুরের বাসায় আসে।
বকুলের বাসায় মুন্নী ২/৩দিন থাকার পর তার লেখাপড়ার অজুহাত দেখিয়ে খুলনায় যেতে হবে বলে বকুলের কাছে রাখা নগদ ১লাখ টাকা ও তাদের বিয়ে সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে মুন্নী খাতুন আর বকুলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
বকুলের অভিযোগ মুন্নি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে মুন্নীর ভাই মিলন বকুলকে ফোনে সাথে বকুল প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যাতে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা মুন্নি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply