আজকের স্বদেশ ডেস্ক::
পৃথিবী বিখ্যাত ১২২ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আমাদের গর্ব, অহংকার। এটি আমাদের কক্সবাজারের প্রাণের সৈকত। যেটিকে নিয়ে আমরা বিশ্বব্যাপি গর্ব করে থাকি।
সরকার কক্সবাজারের উন্নয়নে নানামুখি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে হাতে নেয়া মেগা প্রকল্প গুলো একে-একে বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে কক্সবাজার সৈকতকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
ট্যুরিষ্ট পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করা হয়েছে। এতে করে দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে আছেন। তবে যে বিষয়টি না বললে নয় সেটি হচ্ছে সৈকত পাড়ের বাইরে এসে বিভিন্ন সময় পর্যটকরা চুরি, ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।
সুশিল সমাজ মনে করেন, কক্সবাজারের সাম্প্রতিক উন্নয়ন গর্বের বিষয়। কিন্ত কিছু সন্ত্রাসি কর্মকান্ড কক্সবাজারের সুনামকে বিনষ্ট করছে। এতে করে ভাবমুর্তি নিয়ে বেড়াতে এসে অনেকে বিরুপ মন্তব্য করে থাকেন।
এক হিসেবে দেখা গেছে, কক্সবাজার সৈকত কেন্দ্রিক ছোট-বড় কমপক্ষে গেল বছর অর্ধশত চুরি ও ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। থেমে-থেমে সন্ত্রাসি কর্মকান্ডতো আছেই। সকলে অবগত রয়েছেন মাস-দেড়েক আগে সৈকত এলাকার কলাতলি দিয়ে শহরে প্রবেশকালে জইল্ল¬ার মোড়ে ছুরিকাঘাতে একপর্যটকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
শহরবাসি মনে করেন, সৈকতে নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করতে হলে কলাতলি, হলিডে মোড়, জইল্লার দোকান, জাম্মুর মোড়, গোলদিঘীর পাড়, বাজারঘাটা, বাস টার্মিনাল ও লিংক রোডে নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করতে হবে।
সিসিক্যামেরার আওতায় আনতে হবে জনবহুল এসব সড়ক ও মোড়। দিনের বেলায় নিরাপত্তা বেষ্টনি ঢিলেঢালা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে রাত ১২/১টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এসব সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরি।
পরিশেষে বলা যায়, এই কক্সবাজার এই সৈকত সম্পদ সবই আমাদের। আমাদের কক্সবাজারকে বিশ্বব্যাপি আরো বেশি পরিচিতি ও উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে নিতে হলে পরিবেশ-পরিস্থিতি আইন শৃংখলা সবই ‘ভালো’ থাকতে হবে। জয়তু কক্সবাজার।
আজকের স্বদেশ/জুয়েল
Leave a Reply